'লঙ্কায়' জ্বলছে আগুন, চিনা ঋণের দায়ে নেপালও কি হাঁটছে একই পথে...
Connect with us

আন্তর্জাতিক

‘লঙ্কায়’ জ্বলছে আগুন, চিনা ঋণের দায়ে নেপালও কি হাঁটছে একই পথে…

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রতিবেশী চিনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নিজেকে ইতিমধ্যে দেউলিয়া ঘোষণা করে দিয়েছে ‘লঙ্কা’। ঋণের দায়ে জর্জরিত অবস্থা শ্রীলঙ্কার। একই পথে কি হাঁটছে দক্ষিণ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ? 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলির মধ্যে ছোট দেশের তালিকায় রয়েছে, ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল। ইতিমধ্যে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, নেপাল বিদেশী কোনও পণ্যসামগ্রী কিনছে না, যার ফলে দেশে থাকা খাদ্য সামগ্রী এবং অন্যান্য দৈনন্দিন পণ্য সামগ্রীর বাজার মূল্যে আগুন লেগে গিয়েছে । চিন ও বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের সুদের হার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আর এই মুহুর্তে শ্রীলঙ্কায় যে দেওলিয়ার প্রমান দিয়েছে, তাতে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী দেশ চিনের কিছু না হলেও বাংলাদেশের মতো ছোট দেশকে তার মাশুল গুনতে হচ্ছে ।

সম্প্রতি বাংলাদেশী এক সংবাদ মাধ্যমের খবরে উঠে আসে যে, বাংলাদেশ এই পর্যন্ত ২০০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় সতেরো বিলিয়ন তিনশ উনিশ কোটি চার লাখ আটাশ হাজার বাংলাদেশী টাকা শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে এবং চিন দিয়েছে ১.২ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার । এমতাবস্থায় শোনা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কা চিনের থেকে আরো ২.১ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে চায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’, ইমরানের সমর্থনে পাকিস্তানের রাস্তায় শোনা গেল ভারতের স্লোগান

তবে প্রশ্ন ঠিক এখানেই যে, শ্রীলঙ্কা বর্তমানে দেওলিয়া হয়ে গিয়েছে, ঋণ মেটাতে অপারক তবে, নতুন কি বন্ধক রেখে ঋণ নেবে দশানন রাবনের দেশ। যদি চিন নতুন ঋণ শ্রীলঙ্কাকে দেয় তাহলে কি বাংলাদেশের দেওয়া আর্থিক ঋণ মিটিয়ে দেওয়া হবে ? প্রশ্ন টা থেকেই যায় । অন্যদিকে ২০২০ সালে করোনা চলাকালীন জুন মাসে চিনা প্রেসিডেন্ট, নেপাল সরকারের সঙ্গে ২.৭ বিলিয়ন ডলারের এক বাণিজ্য চুক্তিতে সাক্ষর করে। যেখানে বলা হয় ৭২.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চিন সীমান্ত থেকে কাঠমন্ডু পর্যন্ত রেল লাইন করবে চিন। তারপর সে বিষয়ে আর আন্তর্জাতিক কোনও চর্চা শোনা যায়নি ।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর ৭৫ বছরের ধারা অব্যাহত, ২৯ বার নতুন প্রধানমন্ত্রী পেলেন পাকিস্তানবাসী

Advertisement

নেপাল বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক লিমিটেড নামে একটি ব্যাঙ্ক স্থাপিত হয় ১৯৯৪ সালে। যা প্রমাণ করে বাংলাদেশ ও নেপালের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বাকে। তবে, বর্তমান আর্থিক অনটনের কালের এই বন্ধুত্বতা কি নিবিড় থাকবে, প্রশ্ন সবার । বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থার হাল তেমনটা ভালো নয়, ঘনবসতি পূর্ণ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, নেপাল যে শ্রীলঙ্কার পথেই হাঁটছে সে বিষয়ে আন্দাজ করেছে । শ্রীলঙ্কা বা নেপাল দুই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যে করুন তার বহু কারন তুলে ধরেছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা । চিনের গ্রাসে পরেই যে এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা রসাতলে যাচ্ছে তা বলা বাকি রাখে না।