Uncategorized
মহিলাচালিত গ্রাম, নেই কোনও পুরুষের প্রবেশাধিকার, তাও গর্ভবতী হন মহিলারা, কীভাবে?

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এমন অনেক খবর আমাদের সামনে আসে যা শুনে আমরা অবাক হই। এই বিশাল বিশ্বের কোথায় কী ঘটছে, সে সম্পর্কেও আমরা অবহিত হতে পারি সহজেই। সেইরকমই এক অজানা আর অবাক করা খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আমাদের সামনে এসেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার এক গ্রামের চিত্র বা সেখানকার জীবনযাত্রার ছবি আমাদের সামনে উঠে এসেছে। কেনিয়ার সাম্বুরু এলাকার উমোজা গ্রামে প্রায় ৩০ বছর ধরে পুরুষদের কোনও প্রবেশাধিকার নেই। সেই গ্রামে থাকে না কোনও পুরুষ। গ্রামে বসবাস করেন শুধু মহিলা, আর তাঁদের বাচ্ছারা। আড়াইশোর বেশি মহিলা এই গ্রামে বসবাস করেন। নিজেরাই নিজেদের এবং নিজের সন্তানের ভরণ-পোষণ চালান। তার জন্য তাদের কোনও পুরুষের প্রয়োজন হয় না। প্রতি বছর দু’জন প্রতিনিধিকে গ্রাম পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। এই গ্রামের প্রতিটি মহিলাই স্বনির্ভর। আর্থিকভাবে সাবলম্বী। ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত। কৃষিকাজ, পশুপালনের সঙ্গে সঙ্গে রঙিন পুঁতির গয়না তৈরি করেন এই গ্রামের মহিলারা। এঁদের তৈরি গয়না বেশ জনপ্রিয়। ১৯৯০ সালে এই গ্রামটি তৈরি হয়েছিল ১৫ জন মহিলাকে নিয়ে।
এই ১৫ জন মহিলাই ছিলেন ধর্ষিতা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অত্যাচারিত, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত এই ১৫ জন নারী পুরুষমুক্ত এই গ্রাম গড়ে তোলেন। আর যে সকল নারী তাঁদের মতোই অত্যাচারিত-নিপীড়িতরাও এই গ্রামে পায় অবাধ প্রবেশাধিকার। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, যখন কোনও পুরুষ থাকে না এই গ্রামে, তাহলে সন্তান কি করে হয় এই সকল মহিলাদের? না সেরকম অলৌকিক কোনও ব্যাপার নেই। হ্যাঁ, সত্যিই সেই গ্রামে কোনও পুরুষের প্রবেশাধিকার নেই। কিন্তু এই গ্রামের মহিলাদের বাইরে যাওয়ার নিষেধও নেই। এই গ্রামের মহিলারা বাইরে গিয়ে তাঁদের মনের মতো সঙ্গী নির্বাচন করেন। সম্পর্ক হয় তাঁদের মধ্যে। এরপর তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা হলে সম্পর্ক ছিন্ন করেদেন সঙ্গীর সঙ্গে। সন্তানরা কোনও দিনই তাঁদের বাবার পরিচয় জানতে পারে না। মায়ের পরিচয়ই তাদের কাছে সব। এই গ্রামে বাচ্ছাদের পড়াশোনার জন্য আছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। এই গ্রামে অনেক মানুষ ঘুরতেও আসেন।যেখানে নারীরা এখনো সমাজে অসহায় সেখানে নারীদের এই গ্রাম সত্যি রূপকথার চেয়ে কিছু কম নয়।