চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু,রণক্ষেত্র ঝাড়গ্রাম নার্সিংহোম
Connect with us

বাংলার খবর

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু,রণক্ষেত্র ঝাড়গ্রাম নার্সিংহোম

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাল মৃতের পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে।

জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরের মধুবন মোড় এলাকায় শ্রীরাম নার্সিংহোম নামে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে বছর ৩২ এর এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঝাড়গ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃত ওই মহিলার নাম মাতঙ্গিনী গিরি। তাঁর একটি ১২ বছরের ছেলেও রয়েছে।

মৃতার ভাই জগন্নাথ বেরা বলেন, তার দিদি মঙ্গলবার পায়খানা বমি করে। যারফলে বাড়ির পাশেই ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। তার দিদি সুস্থ ছিল এবং হাঁটাচলাও করছিল। বুধবার সন্ধ্যা ৬:৪০ মিনিট নাগাদ নার্সিংহোম এর ডাক্তার প্রসুন ঘোষ একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর মাতঙ্গিনী গিরি নামে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের পরিবারের ও আত্মীয় স্বজনেরা ওই নার্সিংহোমে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ধরাধামে শিব, কালী, পার্বতী! গাজনে হৈ-হৈ রব বাংলায়

তারা ওই ডাক্তার প্রসুন ঘোষ কে গ্রেফতারের দাবি জানায় ।ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ঝাড়্গ্রাম থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। মৃতের ভাই জগন্নাথ বেরা অভিযোগ করে বলেন ভুল চিকিৎসার জন্য আমার দিদির মৃত্যু হয়েছে। মাত্র  ৩২ বছর বয়সে পায়খানা বমি হওয়া সুস্থ রোগীকে ভুল ইনজেকশন দিয়ে যদি মেরে দেওয়া হয় তাহলে এভাবে কত রোগীর মৃত্যু হচ্ছে কেউ জানে না। তাই ওই নার্সিংহোম এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি জানান।

আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের আগে সুখবর, সকলের জন্য খুলে গেল ভারত-বাংলাদেশের দরজা

Advertisement

তবে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। কিন্তু ওই বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি। নার্সিংহোম ঘিরে রেখেছে পুলিশ, ভিতরে রয়েছে অভিযুক্ত ডাক্তার। ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। তাই ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারাও।