বাংলার খবর
এক ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে অসহায় বৃদ্ধার অস্ত্রোপচার
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে রাজ্যে ভুরিভুরি অভিযোগ। অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করে বলে হামেশাই অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার কড়া হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা গিয়েছে। কিন্তু তার উল্টো চিত্রও দেখা গেল এবার।
বাড়িতে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল খড়্গপুর শরৎপল্লির বাসিন্দা রেবা বসুর। এরপরই তাঁর পা ফুলতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন হয় যে ৬৭ বছরের ওই বৃদ্ধা বিছানা থেকে উঠতেই পারছিলেন না। এরপর চিকিৎসক রেবা দেবীকে অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু, অপারেশনের জন্য প্রয়োজন ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। কিন্তু অত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য ছিল না তার। অসুবিধার কথা শুনিয়ে এগিয়ে আসেন এক তৃণমূল কর্মী।
খবর পেয়ে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী সুরজিৎ দাস। তিনিই ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে যান চিকিৎসকের কাছে। সমস্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানিয়ে দেন রেবা দেবীর কোমরের হাড় ভেঙেছে। অপারেশন করতে লাগবে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। একে তো আর্থিক সামর্থ্য নেই তার ওপর ওই বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও ছিল না।
গোটা বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনেন সুরজিৎ দাস। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই রেবা বসুর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। সেই কার্ডের সাহায্যেই গত শনিবার কোমরের অপারেশন হয়েছে ওই বৃদ্ধার।