বাংলার খবর
হাওড়াকে বাদ রেখেই ২২ জানুয়ারি ৪ পুর নিগমের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের, সর্বদল বৈঠক বয়কট বিরোধীদের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৫ পুরনিগমের ভোট হবে। এবং বাকি পৌরসভাগুলোর ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ২২ জানুয়ারির ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল।
তবে হাওড়াকে বাদ দিয়েই ২২ জানুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগর- চার পুর নিগমের ভোট হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। হাওড়া প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ‘আগে রাজ্যই বলেছিল পাঁচ পুরনিগমে ভোট হবে। আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাওড়া নিয়ে রাজ্য সরকার কিছু জানায়নি। তাই হাওড়া নিয়ে এখনই বলতে পারছি না। যদি কাল এসে যায়, কাল আবার ধরব।’ আগামীকাল ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা। ২৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে। পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো যাবে ২৪ জানুয়ারি।
সোমবার থেকেই জারি হয়ে গেল আদর্শ আচরণ বিধি। শুধুমাত্র যেখানে ভোট হবে সেই পুরনিগমের অন্তর্গত এলাকায় আদর্শ আচরণ বিধি বলবৎ থাকবে। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে মনোনয়ন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ জানুয়ারি। স্ক্রুটিনি ৪ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ জানুয়ারি। প্রত্যেক বুথেই থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শিলিগুড়িতে মোট ৪৭টি ওয়ার্ড, আসানসোলের ১০৬টি ওয়ার্ড, চন্দননগরের ৩৩টি ওয়ার্ড, বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। ২০২১ সালের ১ নভেম্বরের ভোটার তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ভোট হবে ইভিএমে। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটপর্ব সমাপ্ত হবে।
জানুয়ারিতে যাঁরা নতুন ভোটার হবেন তাঁরা তালিকাভুক্ত হবেন না। সোমবার এই পুরভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু মাঝ পথেই সভা বয়কট করে বেরিয়ে আসেন বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিরোধীদের দাবি, ৫ কর্পোরেশনের ভোট আগামী ২২ জানুয়ারি হওয়ার কথা আদালতকে জানিয়েছিল কমিশন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৪ কর্পোরেশন ভোট হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল যাতে এক চেটিয়া ভোট করতে পারে সেই কারণেই এই ভাবে নির্বাচন করতে চাইছে কমিশন। এছাড়াও সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট না হওয়াতেও বিরোধিতা করেছে রাজ্যের বিরোধী দলেরা। এবং ২৩ ও ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভোট করতেও সমস্যা হবে বলে মনে করছে তারা। সেই কারণেই মাঝপথেই সভা বয়কট করে বেরিয়ে আসেন বাম, বিজেপি, কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।