খেলা-ধূলা
জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের, নর্থইস্টের কাছেও হার!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চলতি আইএসএল-এ কলকাতার দুই প্রধানের হল টা কী! বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করেছিল এটিকে মোহনবাগান। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল আটকে গেলো। বছর ঘুরতে চলল তবুও জয় অধরাই থেকে গেল লাল-হলুদের।
৭ ম্যাচ হয়ে গেল এখনও একটা ম্যাচও জিততে পারল না মানোলো দিয়াসের দল। শুক্রবার পয়েন্ট টেবিলের লাস্ট বয় নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছেও ২-০ গোলে হেরে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। দুই ‘প্রাক্তনী’ ভিপি সুহের এবং খালিদ জামিলের কাছেই হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। দুই গোলের পরই জামিল যেভাবে মাটিতে মাথা ঠেকালেন, তাতে বোঝাই গেল পুরনো দলের বিরদ্ধে নর্থ-ইস্টের কোচ জামিলের মনোভবটা কেমন। কলকাতা ডার্বির পর চোট সারিয়ে এই ম্যাচে গোলের নীচে ফিরেছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। যাঁকে নিয়ে এত প্রশ্ন, সেই রাজু গায়কোয়াড়কেও দলে রেখেছিলেন দিয়াস। প্রথমার্ধে দু’দলই নির্বিষ ফুটবল খেলল।
চিমা-মার্সেলোদের বিশ্রী ফুটবল বিরক্তিকর হয়ে উঠছিল। মিস পাস, ভুল শট, ধাক্কাধাক্কি আর পরিকল্পনাহীন ফুটবল প্রথমার্ধে। তারই মধ্যে ২৯ মিনিটে চোট পেয়ে বাইরে চলে যান ফ্রাঞ্জো পর্চে। এই ক্রোট ডিফেন্ডারকে ক্র্যাচ নিয়েই মাঠ ছাড়তে দেখা গেল। এই দুর্দিনে যা মর্থকদের উদ্বেগকে দ্বিগুন করে দিল। ফ্রাঞ্জোর জায়গায় আমির দের্ভিসেভিচকে মাঠে নামান মানোলো। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। তবে প্রথমার্ধে নর্থইস্টের তুলনায় কিছুটা ভালো খেলছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তাদের আক্রমণের সংখ্যাও ছিল বেশি। তবে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই বিশ্রি ফুটবল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে অনেক ভালো ফুটবল খেলল নর্থ ইস্ট। আক্রমণে গতি আনতে নাওরেমকে তুলে বিকাশ জাইরুকে নামিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ দিয়াস। তবে তাতে লাভ হয়নি। ৬০ মিনিটেই নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন সুহের। প্রথম পোস্টে দাঁড়িয়ে গোল হজম করলেন অরিন্দম। মাঝমাঠে রাজু গায়কোয়াড়ের থেকে বল কেড়ে নেন নর্থ ইস্টের এক ফুটবলার। সেখান থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন সুহের। তাঁকে আটকাতে পারেননি একাধিক লাল-হলুদ ডিফেন্ডার। দু’-তিনজন লাল-হলুদ ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়েই গোল করে যান সুহের।
৬৮ মিনিটে সেট পিস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করে যান অরক্ষিত প্যাট্রিক ফ্লোটম্যান। বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রিকিক আলতো টাচে ডান দিকে থাকা সতীর্থকে দিয়ে দেন নর্থইস্টের এক ফুটবলার। সেখান থেকে বক্সে ক্রস ভেসে আসলে ফাঁকায় হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন ফ্লোটম্যান। এরপর আর ইস্টবেঙ্গলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার ওপর শেষের দিকে রেফারিকে ধাক্কা মেরে লাল কার্ড দেখে পরের ম্যাচে নেই আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ।