আদালতের পরামর্শ মতো কেন ৪-৬ সপ্তাহ পিছনো হয়নি চার পুর নিগমের ভোট! কমিশনকে আদালত অবমাননার নোটিশ
Connect with us

বাংলার খবর

আদালতের পরামর্শ মতো কেন ৪-৬ সপ্তাহ পিছনো হয়নি চার পুর নিগমের ভোট! কমিশনকে আদালত অবমাননার নোটিশ

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যের চার পুর নিগমের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা যেন কাটছেই না। রাজ্যের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধান নগর পুরসভার নির্বাচন ২২ জানুয়ারি থেকে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

সেই নিয়েই এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে গেল আদালত অবমাননার নোটিশ। মঙ্গলবারই কমিশনকে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন জনস্বার্থ মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্য্য। সাতদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২২ জানুয়ারি এই চার পুর নিগমের ভোট ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, তা বিবেচনা করে দেখার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের সেই পরামর্শের পরও কেন ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের বদলে তিন সপ্তাহ নির্বাচন পিছনো হল, সেই প্রশ্ন তুলেই কমিশনকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠিয়েছেন মামলাকারী।

কমিশনের এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তি কী, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে ওই নোটিশে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন পিছনো নিয়ে রাজ্য এবং কমিশনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। রাজ্যের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে কমিশনের। আবার কমিশন রাজ্য সরকারের কোর্টে নির্বাচন পিছনোর বল ঠেলেছিল। তারপরই আদালত জানিয়ে দেয়, নির্বাচন পিছনোর ক্ষমতা শুধুমাত্র আছে নির্বাচন কমিশনের। এবং কমিশনকে চার থেকে ছয় সপ্তাহ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, তা বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চার পুরনিগমের ভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ফলে ১২ ফেব্রুয়ারি এই চার পুর নিগমের ভোট হওয়া নিয়ে নতুন করে তৈরি হল অনিশ্চয়তা।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.