বাংলার খবর
কেন হাওড়া পুরসভার ভোট নয়, রাতারাতি শুনানির আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোমবার বিকেলেই রাজ্যের ৪ পুর নিগম শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগরের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে বালি পৌরসভাকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি এখনও ঝুলে থাকা হাওড়া পুরনিগমের ভোটের দিনক্ষণ সোমবার ঘোষণা করা হয়নি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়েছেন, হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট নিয়ে এখনও কমিশনের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশ আসেনি। কিন্তু কেন হাওড়া কর্পোরেশনের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল না, তার কারণ জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রাতারাতি শুনানির আবেদন জানালেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। পুর ভোট সংক্রান্ত মামলায় গত সপ্তাহেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানিয়েছিলেন আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৫ পুর নিগমের ভোট হবে। এবং প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের কাছে তিনি এও জানিয়েছিলেন যে হাওড়া পুর নিগমের থেকে বালি পৌরসভাকে বিচ্ছিন্ন করার সংশোধনী বিলটি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সই করে দিয়েছেন।
তারপরও কেন ২২ জানুয়ারি হাওড়া পুর নিগমের ভোট করা হচ্ছে না, তা সোমবার আদালতের কাছে জানতে চেয়েছেন সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। হাইকোর্টে সূত্রে খবর, ওই আবেদন আদালতের কাছে জমা পড়েছে। তবে সোমবার রাতেই শুনানি হবে কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ওই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তবে এই মুহূর্তে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তাহলে রাতারাতি শুনানি করতে হলে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই করতে হবে। আর তার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও শুক্রবার বিকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন রাজ্যপাল ওই বিলে সই করেননি।
তারপরই শনিবার রাজ্যপাল টুইট করে একই দাবি করেন। বিলে তিনি সই করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত সমস্ত খবরই ভুয়ো বলে দাবি করেন তিনি। অপরদিকে হাওড়া পুরভোট করা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারও। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এই মুহূর্তে দার্জিলিঙে রয়েছেন। তিনি যদি সোমবার রাত অথবা মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যে বিলে সই করেন তবেই হাওড়ায় ভোট হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ মঙ্গলবার দুপুরেই নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে নির্বাচন কমিশন। তার আগে গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে। তবে দার্জিলিং থেকে রাজ্যপালের পক্ষে বিলে সই করাটা একপ্রকার অসম্ভব। তাই হাওড়া পুরনিগমের ভোট নিয়ে জটিলতা রয়ে গেল।