বাংলার খবর
বাংলা খুঁজছে ধনখড়ের উত্তরসূরি, দৌড়ে শিশির অধিকারী জল্পনা তুঙ্গে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাষ্ট্রপতি, উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে একের পর এক চমক। শনিবার সন্ধ্যায় NDA দলের উপ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর বিরুদ্ধে কুর্শি দখলের লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের ৫ বারের সাংসদ মার্গারেট আলভা। আর এসবের মধ্যেই বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কে হবেন বাংলার পরবর্তী রাজ্যপাল!
সূত্রের খবর, NDA দল জগদীপ ধনখড়কে উপ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করায় ফাঁকা থাকছে বাংলার রাজ্যপালের পদ। তাহলে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কে এখন বসবে বাংলার রাজভবনে? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খেলেই অনেকেই মনে করছেন শিশির অধিকারী কি হতে পারেন বাংলার রাজ্যপালের পরবর্তী পদাধিকারী। যদিও সে প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। তবে অন্যদিকে বাংলার রাজ্যপাল পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে আরও দু’জনের নাম। তাঁরা হলেন, মুকতার আব্বাস নকভি এবং আরিফ মহম্মদ।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নকভি। অন্যদিকে আরিফ মহম্মদ বর্তমানে কেরলের রাজ্যপাল হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু এসবের মধ্যে রাজ্যের বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা তমলুকের সাংসদ শিশির অধিকারীর নাম নিয়েও ছড়িয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: উপ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ধনখড়, খুশির হাওয়া দেশের বাড়িতে
এদিকে এ বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ”আমি জানি না, কে কোন দৌড়ে আছেন। সাধারণত আমরা জানি, একই রাজ্যের লোককে সেখানে রাজ্যপাল করা হয় না। জানি না, আইন আছে কি না। অন্য যে কেউও হতে পারেন। যেমনভাবে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী এবং উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে ধামাকা দিয়েছেন মোদিজি বা এনডিএ, সেক্ষেত্রে যিনিই হবেন, তিনি যোগ্য ব্যক্তি হবেন। ভারতে তেমন লোকের অভাবও নেই। অনেক সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্যপাল, যাঁরা বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিতে নেই, বা সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন এমন কাউকে পদত্যাগ করিয়েও করা যেতে পারে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য এবং সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে যেভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কাজকর্ম হচ্ছে,যেভাবে আইন-শৃঙ্খলার যেভাবে পতন হয়েছে, তার জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে পাঠানো দরকার।”
এখন প্রশ্ন হল কোনও ব্যক্তি কি তাঁর নিজের রাজ্যের রাজ্যপাল হতে পারেন? সংবিধানে এই বিষয়ে কী বলা হয়েছে?
আরও পড়ুন: Big Breaking: উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ধনখড়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছেন UPA প্রার্থী মার্গারেট আলভা
যদি সংবিধানের কথা বলতে হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। কেন্দ্র মনে করলে কোনও ব্যক্তিকে তাঁর নিজের রাজ্যের রাজ্যপাল করতেই পারে। বাংলায় এমন নজিরও রয়েছে অতীতে। ১৯৯৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন আট মাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়েছিলেন। এখন দেখার বাংলার পরবর্তী রাজ্যপাল কে হচ্ছেন!