আন্তর্জাতিক
বিলেতের মাটিতে বাংলার জয়, রেল সাইনবোর্ডে বাংলায় লেখা হল স্টেশনের নাম

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘মোদের গরব,মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা’। এবার বাঙালির এই বাংলা ভাষার স্বীকৃতি মিলল খোদ বিলেতে। রাণির দেশে বাংলা ভাষায় ‘স্টেশন’ উপহার পেলেন সেদেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিরা। লন্ডনের (London) লাইফ লাইন টিউব রেল হোয়াইট চ্যাপেল (Whitechapel) রেলস্টেশনের নাম এবার লেখা হল বাংলা ভাষায়।
জানা গিয়েছে, জনবহুল লন্ডনের এই এলাকায় প্রতিদিনই বহু বাঙালি সহ বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। শুধু তাই নয় রাণির দেশের এই এলাকায় বাস করেন ভারত-বাংলাদেশের প্রচুর বাঙালিরা। আর সেই সূত্রেই অনেকদিন ধরেই লন্ডনের এই রেল স্টেশনের নাম বাংলাতে লেখার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। এই বিষয়ে ব্রিটেন প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন অনেকেই।
অবশেষে সেই সব বাঙালিদের দাবি মেনে সুদূর বিদেশের রেল স্টেশনে বসল বাংলায় স্টেশনের নাম লেখা সাইনবোর্ড। ব্রিটেন প্রশাসনের এমন কাজকে কুর্নিশ জানিয়ে এই বিষয়ে বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পালক জানিয়েছেন, ” বাংলাদেশীদের জন্য অন্যরকম একটা প্রাপ্তি। এই প্রথম লন্ডনে কোনও ট্রেন স্টেশনের নাম ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলায় লেখা হল। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।”
আরও পড়ুন: Viral News: রান্না করেনি স্বামী, পেনিসে বড়শি গাঁথলেন স্ত্রী
শুধু তাই নয়, এদিন তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে বাংলায় লেখা হোয়াইট চ্যাপেল রেল স্টেশনের কিছু ছবিও পোস্ট করেছন। এদিকে বিদেশের মাটিতে বাংলা ভাষার কদর দেখে উচ্ছ্বসিত কলকাতার বাঙালিরা। যদিও বাংলাতেই বাংলা ভাষার কদর না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অনেক বুদ্ধিজীবীরা।
এমনকি বাংলা ভাষার জন্য লড়াইয়ের পর প্রতিবছর ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি ঘটা করে এপার বাংলা ওপার বাংলায় ‘ভাষা দিবস’ পালন করা হলেও আজও আমাদের দেশে পশ্চিম বাংলায় অবহেলিত বাংলা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যখন রীতিমতো বাংলা ভাষা নিয়ে চর্চা,গবেষণা করা হয় ঠিক তখন এদেশের কিছু উচ্চ শিক্ষিত তথাকথিত বাঙালিরা বাংলা বলতে লজ্জা বোধ করেন। কথায় কথায় হুর-হুর করে বেরিয়ে বিদেশী ভাষা ‘ইংরেজি’। এমনকি আমাদের রাজ্যে রেলের টিকিট, মেট্রোর টিকিটে গন্তব্য স্টেশনের নাম লেখা হয় ইংরেজি-হিন্দিতে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: Viral Video: কাঁচা বাদাম গানে নেটপাড়া মাতাচ্ছেন পিভি সিন্ধু
যদিও হোয়াইট চ্যাপেলের মতো করে দাবি না তুললে ভবিষ্যতেও মাছেভাতে বাঙালিরা সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ‘ইংরেজিকেই’ ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ বলেই প্রায়োরিটি দিতে থাকবেন।