ডিজিটাল ডেস্ক – অনেক সময় নিজের অজান্তেই বাড়ীতে বা মাঠে ঘাঁটে মরচে পড়া লোহায় আমাদের পায়ে বা দেহের কোথাও কেটে যায়। জানেন কি এই মরিচা লাগা লোহার সাথে আরও থাকতে পারে ময়লা আবর্জনা এবং বিভিন্ন ধরণের জীবাণু। আর এই জীবাণু গুলোই আমাদের দেহের জন্য প্রচন্ড বেশি ক্ষতিকর।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া Clostridium Tetani নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে যা সাধারণত মাটি, আবর্জনা ও নোংরা স্থানে পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়ার স্পোর যখন তীক্ষ্ণ পেরেক বা ওই জাতীয় জীবাণু বাহিত বস্তু দ্বারা চামড়া ভেদ করে শরীরের মাংসপেশিতে প্রবেশ করে তখন সেগুলো বংশবিস্তারের মাধ্যমে এক প্রকার টক্সিন (tetanospasmin) তৈরি হয়। এ টক্সিন মানবদেহের মোটর নিউরনে আক্রমন করে যা মাংসপেশির সন্ঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে।
সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে পেশী খিঁচুনি ক্রমশ চোয়ালেও পরিলক্ষিত হয়, ফলে এই রোগের একটি সাধারণ নাম হল দাঁত কপাটি । এই রোগের অন্যান্য লক্ষণগুলি হল পেশীর অনমনীয়তা, গিলে খেতে অসুবিধা এবং দেহের অন্যান্য অংশে খিঁচুনি। শরীরের পেছনের মাংসপেশিগুলো সংকুচিত হয় বলে পুরো শরীর ধনুকের মতো বেঁকে যায়। এই কারণে এই রোগকে (ধনুঃ + টঙ্কার) ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস বলে। বিখ্যাত জুতার কোম্পানী বাটা আর সেই কোম্পানীর ১৯৩৮ সালের বিজ্ঞাপন ছিলো এমন, আর যেখানে লেখা রয়েছে ধনুষ্টঙ্কার হতে বাঁচুন, ঐ সময় দাম ছিলো মাত্র আট আনা।
আরোও পড়ুন – মুখের দুর্গন্ধে হার্ট অ্যাটাক! কি বলচ্ছেন বিশেজ্ঞরা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ