Allergy : অ্যালার্জি কী ? কেন হয় ? এর থেকে বাঁচার উপায় কী ?
Connect with us

লাইফ স্টাইল

অ্যালার্জি কী ? কেন হয় ? এর থেকে বাঁচার উপায় কী ?

এলার্জির বহির্প্রকাশ ঘটে। কখনও কখনও আমাদের শরীর ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই এলার্জি।

Dwip Narayan Chakraborty

Published

on

4.5/5 - (2 votes)

এলার্জি (allergy) কি? মানুষের শরীরে এক একটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম আছে। কোন কারণে এই ইমিউন সিস্টেমে গণ্ডগোল দেখা দিলে এলার্জির বহির্প্রকাশ ঘটে। কখনও কখনও আমাদের শরীর ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই এলার্জি।

এলার্জি আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষের কাছে এক অসহনীয় সমস্যার নাম। এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য বা ঔষুধের উপর ভীষণ প্রতিক্রিয়া এমনকি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্য অসুবিধা সৃষ্টি করে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। ঘরের ধুলাবালি, ফুলের ঘ্রান, খাসির মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর দুধ ইত্যাদি সাধারন ব্যাপারে গা চুলকানি শুরু হলে অথবা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠলে ধরে নিতে হবে আপনার এলার্জি আছে।

এলার্জি (allergy) থেকে মুক্তির উপায় : প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার সময় কিছু ময়লা বইয়ের সেলফে জমে থাকে এবং জমে থাকা ময়লা অ্যালার্জেন সৃষ্টি করে। দু-এক দিন পর পর বইগুলো নাড়াচাড়া করলে সেলফে থাকা ডাস্ট চলে যাবে। বিছানার ডাস্ট মাইট থেকে পরিত্রাণ পেতে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মশারি ইত্যাদি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এছাড়া ঘরের চারপাশে মেঝে ভালভাবে পানি ও ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন উঠোনে বা বেলকনিতে আসা রোদে লেপ, কম্পল ইত্যাদি ভালভাবে শুকিয়ে নেয়া যেতে পারে কারন রোদের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মিতে হাউজ ডাস্ট মাইট মরে যায়।
এক সপ্তাহ পর পর ভেজা কাপড় দিয়ে দরজা এবং জানালা পরিষ্কার করা উচিত। সেইসঙ্গে দরজা এবং জানালার পর্দা মাঝে মধ্যে ভালভাবে ধুতে হবে।

Advertisement

বাথরুমের  জানালা খোলা রাখতে হবে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। বাথরুম যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত বাথরুমের মেঝে, বাথটাব ও প্যান ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। রান্না ঘরের ময়লা-আবর্জনা থেকে মুক্ত হতে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। ফ্লোর ক্লিনার ও গরম পানি দিয়ে রান্না ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। শিশুদের খেলনা, বিভিন্ন শোপিস, জুতা, ফ্যান, এসি, ঝাড়বাতি ইত্যাদিতে ধুলোবালি জমে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই নিয়মিত এসব পরিষ্কার করতে হবে। বাসায় পশুপাখি থাকলে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। পশুপাখি যে জায়গায় থাকে সেই জায়গাটা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। অবশ্যই খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে দিতে হবে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত পশুপাখিকে গোসল করালে এবং থাকার জায়গা পরিষ্কার করলে ভাল।

এলার্জিজনিত কিছু রোগ

খাবারে এলার্জি (allergy) : কিছু কিছু খাবারে এলার্জির সম্ভাবনা থাকে যেমন- দুধে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে গরুর দুধে এলার্জি হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে গরুর দুধে গায়ে চুলকানি, হাপানি ইত্যাদিও হতে পারে। এছাড়াও ডিম, মাছ, বাদাম, কলা, পেয়াজ, রসুন, আপেল, আঙ্গুর, ব্যাঙের ছাতা, তরমুজ, চকোলেট, ঠান্ডা পানীয় ইত্যাদি কোন কোন ব্যক্তির এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। একেক খাবারে একেক ব্যক্তির এলার্জি হতে পারে। খাবারে এলার্জির উপসর্গগুলো হল পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব অথবা বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি।

Advertisement

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জনিত এলার্জি (allergy) : পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জনিত এলার্জি খুবই মারাত্মক হতে পারে। এলারজেন শরীরের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে এটা শুরু হতে পারে। নিম্ন উল্লিখিত উপসর্গগুলো হতে পারে। সাধারণত মাইট নামক এক ধরনের ক্ষুদ্র জীবানু যা ধুলাতে থাকে, মোল্ড, ফুলের রেণু, ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়া, খাবার, ঘরের ধুলো ময়লা, পশুপাখির পশম এবং চুল, পোকা মাকড়ের কামড়, ঔষুধ, রাসায়নিক দ্রব্যাদি, প্রসাধনী ইত্যাদির সংস্পর্শে এটা হয়ে থাকে।

এলার্জিজনিত সর্দি বা এলার্জিক রাইনাইটিস : এলার্জিজনিত সর্দি এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এলার্জিক রাইনাইটিস দুই ধরনের হয়। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এলার্জিক রাইনাইটিস হলে এটা সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস এবং বছরের যেকোনো সময় হলে এটা পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস।

আর্টিকেরিয়া : আর্টিকেরিয়া রোগে ত্বকে চাকা চাকা হয়, ফুলে ওঠে এবং চুলকানি হয়। অধিকাংশ মানুষের কোন না কোন সময় এই রোগটি হয়ে থাকে।আর্টিকোরিয়া শরীরের কোন নির্দিষ্ট অংশে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে আবার সমস্ত শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ রোগে প্রচন্ড চুলকানির সাথে বিভিন্ন আকারের লালচে চাকা চাকা ফোলা দাগ হতে পারে।

Advertisement

এজমা বা হাঁপানি : এজমা বা হাঁপানির উপসর্গ হচ্ছে কাশি, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট, ঘন ঘন নিঃশ্বাসের সহিত বাঁশির মতো শব্দ হওয়া বা বুকে চাপ লাগা, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি।

Source : Ripan Khan

অ্যালার্জি কী ?

মানুষের শরীরে এক একটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম আছে। কোন কারণে এই ইমিউন সিস্টেমে গণ্ডগোল দেখা দিলে এলার্জির বহির্প্রকাশ ঘটে। কখনও কখনও আমাদের শরীর ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই এলার্জি।

অ্যালার্জি কেন হয় ?

এলার্জি আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষের কাছে এক অসহনীয় সমস্যার নাম। এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য বা ঔষুধের উপর ভীষণ প্রতিক্রিয়া এমনকি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্য অসুবিধা সৃষ্টি করে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।

অ্যালার্জি থেকে মুক্তির উপায় কী ?

প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার সময় কিছু ময়লা বইয়ের সেলফে জমে থাকে এবং জমে থাকা ময়লা অ্যালার্জেন সৃষ্টি করে। দু-এক দিন পর পর বইগুলো নাড়াচাড়া করলে সেলফে থাকা ডাস্ট চলে যাবে। বিছানার ডাস্ট মাইট থেকে পরিত্রাণ পেতে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মশারি ইত্যাদি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.