বাংলার খবর
“টাকা নেই আবার কী!”—ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ সরকারি কর্মীদের

বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের, ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা, রাজ্য সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী রায়ে আংশিক স্বীকৃতি পেল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারকে ২৫ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মেটাতে হবে। এই রায় সামনে আসতেই রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া—সন্তুষ্টি থাকলেও আনন্দে ফেটে পড়েননি তাঁরা। বরং সম্প্রতি বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁরা সংযত থেকেছেন।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল এই রায়কে ‘গোটা দেশের জন্য নজির’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এই জয় শুধু একদিনের নয়, বরং এটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফল।” তিনি আরও বলেন, “২৫ শতাংশ যখন দিতে হচ্ছে, তখন বাকিটাও দিতে বাধ্য হবে সরকার।”
ডিএ বিতর্কের শুরু ২০২২ সালে, যখন রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মীদের হারে মহার্ঘ ভাতা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ডিএ কোনো দয়া নয়, বরং সরকারি কর্মীদের অধিকার। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
বছরের পর বছর শুনানি পিছোতে থাকলেও অবশেষে ২০২৫ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানায়, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে অন্তত ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, এই অর্থ মেটাতে রাজ্যের ১০ হাজার কোটি টাকার মতো খরচ হবে, যা ‘মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে পারে।’ তবে কর্মীদের যুক্তি, “যখন মেলা, খেলা, উৎসবে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, তখন আমাদের ন্যায্য পাওনায় কেন আপত্তি?”
সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’ এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে জানায়, “এবার আর টাকা আটকে রাখা যাবে না। কর্মীদের অধিকার রক্ষার এই লড়াই চলবে যতক্ষণ না পুরো বকেয়া মেটানো হয়।”