বাংলার খবর
পুলিশি অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ কার্তুজ-বন্দুক, গ্রেফতার ১

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ফের অস্ত্র উদ্ধার। শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম এবং গোপীবল্লভপুর থানায় দুই ব্যক্তিকে ২ টি বন্দুক এবং কার্তুজ সহ গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম প্রবীর দেহরি ( মিটকা) গোপীবল্লভপুর থানা এলাকার খুন্তি গ্রামের বাসিন্দা। অপরজন নয়াগ্রাম থানা এলাকার দোল গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতের নাম কুমর চৌধুরী। ধৃতদের কাছ থেকে একটি করে বন্দুক এবং কিছু কারতুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবারই ধৃতদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিটি থানায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। তার জেরেই উদ্ধার হচ্ছে এই অস্ত্রগুলি। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, এখনও ঝাড়গ্রামে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মজুত আছে। পুলিশ সঠিকভাবে তল্লাশি চালালে বহু অস্ত্র উদ্ধার হত। তা না হলে আগামী দিনে এই সমস্ত অস্ত্র মাওবাদীদের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গেস্ট হাউসে ডেকে ছাত্রীর সঙ্গে কুকীর্তির অভিযোগ, গ্রেফতার শিক্ষক
অন্যদিকে এদিনই বাঁকুড়া তালডাংরা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটার বন্দুক। ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশর পরই বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা সহ জেলার কয়েকটি জায়গার পাশাপাশি এবার তালডাংরা থানা এলাকার জঙ্গল ঘেরা কুরপা ক্যানেল ব্রিজের কাছ থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ১টি হোমমেড নাইন চেম্বার রিভলবার সহ বছর ৪২ এর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম মুজিবর আলি দালাল। ওরফে ডি ডি। বাড়ি ওন্দা থানার পুনিশোল গ্রামে।
আরও পড়ুন: শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ, Covid-19 নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাল WHO
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে এর আগে বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একাধিক চুরির ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় এগারোটা নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তালডাংরা থানার পুলিশ জঙ্গল ঘেরা এলাকায কুরপা ক্যানেল ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে তাকে বন্দুকসহ গ্রেফতার করে। গত শুক্রবার তাকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে আদালত তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তবে এই ধৃত ওই ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে কেন ওই জঙ্গলপাড়া এলাকায় বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বা তার কি উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তালডাংরা থানার পুলিশ।