বাংলার খবর
কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার রুখতে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি মমতার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর অপব্যবহার রুখতে অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একসঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়ে সকল মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জানা গিয়েছে, অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দেওয়া ওই চিঠিতে তিনি দিল্লির কেন্দ্রীয় বাহিনীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ভোটের সময়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে কীভাবে হেনস্থা করা হয়। শুধু ভোট নয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বা বাদল অধিবেশনের সময় যেভাবে তৃণমূল সাংসদদের হেনস্তা করা হয় সেই কথাও এদিন ওই চিঠিতে তুলে ধরেন তিনি।
অন্যদিকে, শাসক দল এবং বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে বিধানসভায় তুমুল মারপিট। আহত বেশ কয়েক জন বিধায়ক। অভিযোগ, দু’পক্ষের হাতাহাতিতে ছিঁড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকজনের জামাকাপড়। আহত হয়েছেন বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞা। বিজেপির অভিযোগ, আট থেকে নয় জন বিজেপি বিধায়ক আহত হয়েছেন। তাঁদের মেডিকেল করতে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ধুন্ধুমার বিধানসভা, TMC-BJP হাতাহাতিতে নাক ফাটল বিধায়কের
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সহযোগে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্লোগান সহযোগে বিজেপি বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভ।
হায় হায় ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে বিধানসভা। কাগজ ছিঁড়ে ফেলা হয়। স্পিকারের অভিযোগ মহিলা সিকিউরিটি গার্ডকে আপনারা ধাক্কাধাক্কি করছেন। এটা ভালো নয়।
স্পিকারকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখনা বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের কাছে কাছে পৌঁছাতে না পারে তার জন্য দুটি পথ আটকে দাঁড়িয়েছে মহিলা নিরাপত্তাকর্মীরা। কাগজ ছিড়ে স্পিকারের দিকে ছুঁড়ছেন বিজেপি বিধায়করা। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ঠেলাঠেলি চলছে বলে জানা গিয়েছে।বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা। বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘বিধানসভায় আমাদের বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে’ বলেও জানান শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি আরও বলেন,’রাজ্যের বেহাল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করুন।
আরও পড়ুন: BJP-এর বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা, একবছরের জন্য সাসপেন্ড শুভেন্দু অধিকারী সহ ৫ বিধায়ক
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দু’দিনের ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরে। রাস্তায় সরকারি যানবাহন চলছে হাতে গোনা কয়েকটি। রাস্তায় বেসরকারি যানবাহন খুবই কম পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, এগরা, তমলুক এবং হলদিয়ায়। পাশাপাশি হলদিয়া শিল্পাঞ্চলেও বনধের মিশ্র প্রভাব দেখা গেল। হলদিয়ায় কলকারখানা খোলা থাকলেও শ্রমিকের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।