বিবাদ ভুলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী, পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী
Connect with us

বাংলার খবর

বিবাদ ভুলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী, পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পুরোনো বিবাদ ভুলে বন্ধুত্বপূর্ন মনোভাবের বার্তা দিতে ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee। রবিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন তিনি। তারপর সেখান থেকে টানা ছয়দিনের এই সফরে প্রথমেই তিনি চলে যাবেন শিলিগুড়ির উত্তরা ময়দানে। সেখানে গ্রামীণ এলাকায় একটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।

অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে সভা শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেবেন পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। জানা গিয়েছে তাঁর সফরের এই কয়দিন পাহাড়েই কাটাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৯ মার্চ দার্জিলিং-এর চৌরাস্তা এলাকায় একটি জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। এদিকে পাহাড়ের আগামী লোকসভা নির্বাচনে নিজের দলভারি করায় এখন মূল লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও তাঁর এই সফরের মধ্যে দিয়ে আগে বিমল গুরুঙের মোর্চা এবং অনিত থাপার দলের সঙ্গে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিনয় তামাঙের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনাই এখন ঘাসফুল শিবিরের মূল লক্ষ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি দার্জিলিং পুরসভায় সদ্য জয়ী হামরো পার্টির নেতাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বগটুই হত্যাকাণ্ডে আনারুলের ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজত

Advertisement

সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই পাঁচদিনের পাহাড় সফরের প্রধান উদ্দেশ্যই হল পুরোনো বাকবিতণ্ডা ভুলে গিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সব দলগুলিকে একছাতার তলায় নিয়ে আসা। তবে পাহাড়ে GTA চাইছে না বেশকিছু রাজনৈতিক দল। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে জিটিএ নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় না পাহাড়ে। ফলে সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনটাও করাতে চান মমতা। এর আগে কার্শিয়াঙের প্রশাসনিক সভা থেকে সে বিষয়ে ঘোষণাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:  পুলিশি অভিযানে উদ্ধার প্রচুর তাজাবোমা-আগ্নেয়াস্ত্র, মালদহে গ্রেফতার ২

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই টানা সফর গিয়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। চারিদিকে ভরে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যানার, ফেল্কসে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো রাখতে চলছে কড়া পুলিশি নজরদারি। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে সবদিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।

Advertisement