মহানগর
গ্রেফতারিতে কোনও রঙ দেখা হয় না, হাঁসখালির ঘটনায় দাবি মমতার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। শাসকদলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধিরা। ‘ধর্ষকদের হয়ে ওকালতি করছে রাজ্যসরকার। বাংলা হাথরসে পরিণত হয়েছে।” এসব অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা Adhir Chowdhury।
যদিও সোমবার মিলনমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee। এদিন তিনি বলেন, ”ছেলেটির নাকি মেয়েটির সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। ইজ ইট আ ফ্যাক্ট? আমি ডিজি সাহেবকে বলছি।” তিনি আরও বলেন, ”হাঁসখালির ঘটনায় রঙ না দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে মামলাটি দেখতে বলব, তদন্তের পর কেসটা কী ছিল জানাব।”
নদিয়ার হাঁসখালিতে (Hanskhali) এক নাবালিকার ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে রবিবার থেকে গোটা রাজ্য উত্তাল। অভিযোগ, ১৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। মেয়েটির পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। ভয় দেখিয়ে তার দেহ তাড়াতাড়ি দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় রবিবারই গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালা। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজত।
আরও পড়ুন: মগরাহাট জোড়াখুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
এদিকে এই ঘটনায় CBI তদন্তের দাবিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। হাঁসখালির ওই ঘটনা প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার শিল্পপতিদের এক সম্মেলনে বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে। তার ভুল ব্যাখ্যা করে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করছে এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম। তিনি আরও বলেন, ”মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১০ তারিখে। কেন আগে অভিযোগ দায়ের করলেন না। কেন বডিটা পুড়িয়ে দিলেন। আমি সবটা না জেনেই বলছি—আসলে রেপ হয়েছে, না প্রেগন্ট্যান্ট ছিল, নাকি অন্য কোনও কারণ ছিল, নাকি কেউ ধরে ধরে চড় মেরেছে, বা শরীরটা খারাপ হয়েছে? লাভ অ্যাফেয়ার্স তো ছিলই, বাড়ির লোকেরা তা জানত, পাড়ার লোকেরাও তো জানত।”
আরও পড়ুন: জোড়া খুনের অভিযোগে রণক্ষেত্রে মগরাহাট
মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, ”এখন যদি কোনও ছেলেমেয়ে প্রেম করে, আমি কি তাদের আটকাব? এটা কি উত্তরপ্রদেশ, যে লাভ জেহাদকে আটকানো হবে।” গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছিল। তার পরে শনিবার চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় অভিযোগ দায়ের হয় এবং ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই তোলপাড় শুরু হয়। অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালার বাবা সমর গোয়ালা হাঁসখালির ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য।