Uncategorized
BJP-র বিক্ষোভকে নজিরবিহীন বলে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর! রাজভবনে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই উত্তাল হয়ে উঠল বিধানসভা। পৌরভোটে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভাষন শুরুর আগেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসকদলের বিধায়কদের অনুরোধে ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পাঠ করেই বিধানসভা ছাড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি নজিরবিহীন বলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপাল বিধানসভা ছাড়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে বলেন, ‘আজ বিধানসভায় বিজেপি যা করেছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। বিজেপি যা করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ওরা যে গণতন্ত্র মানে না, ফের একবার প্রমাণ হল। নিজেদের পাড়ায় যারা জিততে পারেননি, তারাই বিধানসভায় গোলমাল পাকাচ্ছেন। হেরেও লজ্জা নেই। ওরা ইচ্ছে করে নাটক করল। আজ বিধানসভায় যা ঘটল, তা অভূতপূর্ব। অতীতে কখনই এমন ঘটনা ঘটেনি। আমি এমন ঘটনা কখনও দেখিনি’।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় বেনজির বিক্ষোভ, রাজ্যপালকে ‘ধন্যবাদ’ জানাতে রাজভবনে মমতা
তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি গণতন্ত্র মানে না। আজ যা করল তা অসভ্যতা, অভদ্রতা। ভাষণ না পড়েই বিধানসভা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল। তৃণমূল বিধায়করা বারবার অনুরোধ করেছেন তাঁকে। দীর্ঘ এক ঘণ্টা আমরা অপেক্ষা করেছি। আমি, স্পিকার-প্রত্যেকে রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি ভাষণ দেওয়ার জন্য। উনি ভাষণ না দিলে বাজেট অধিবেশন শুরু হত না। এতে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারত। তাই হাতজোড় করে বলেছি, একটা লাইন পড়ুন অন্তত। তারপর উনি প্রথম ও শেষ লাইন পড়েন। এর জন্য রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিধানসভা যাতে চলতে না পারে এবং রাজ্যপাল ভাষণ পড়তে না পারেন তার জন্য পরিকল্পিতভাবেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি বিধায়করা। একটা নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমি মর্মাহত।’
এরপরই রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানাতে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা হয়। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক তলানীতে গিয়ে ঠেছেছিল।
আরও পড়ুন: ‘আমার বিমানের সামনে অন্য একটি বিমান চলে এসেছিল’, বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
টুইটার থেকেও রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি ২৬ জানুয়ারি রেড রোডের প্যারেডে দু’জনে উপস্থিত থাকলেও কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেননি। তবে এদিন বিধানসভায় দু’জনকেই হাসিমুখে একে অপরের সঙ্গে বাক্য বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবনে যাওয়া এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এক ঘণ্টার সাক্ষাতে তিক্ততা ভুলে সম্পর্কে বরফ গলতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।