বাংলার খবর
‘আমার বিমানের সামনে অন্য একটি বিমান চলে এসেছিল’, বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বারাণসী থেকে কলকাতা ফেরার পথে বিমান বিভ্রাট নিয়ে অবশেষে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে বিধানসভায় ঢোকার মুখে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অল্পের জন্য তিনি বড়সড় বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা নয়, তাঁর বিমানের সামনে আরও একটি বিমান চলে এসেছিল বলেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাইলটের দক্ষতাতেই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ১০ সেকেন্ডের মধ্যে পাইলট বিমানটিকে ৮ হাজার ফুট নিচে নামান। তা না হলে বিমান দুর্ঘটনা হত বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এর জন্য তাঁর হাতে, কোমরে এখনও যথেষ্ট ব্যথা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। এবং এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশ যাদবের আমন্ত্রণে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচার সেরে বারাণসী থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে তাঁর বিমান দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। তা নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: দু’বছর পর ফের শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষা, টোকাটুকি রুখতে তৎপর প্রশাসন
তৃণমূলের ইউনিয়নও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই বিষয়টিকেই স্বীকৃতি দিলেন। তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিমান কোন রুটে আসবে তা তো আগে থেকেই জানা ছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের। তারপরও কেন মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের যাত্রাপথ ফাঁকা রাখা হয়নি! বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা।
আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ড: ফের অনুব্রতকে তলবের নোটিশ পাঠাল CBI
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে দমদম বিমানবন্দরে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি সমর্থিত কন্ট্রাক্টর ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। বারবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই কেন বিমান বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে, এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দর অধিকর্তার অফিসের সামনে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু, আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি পট্টভিকে একটি প্রতিবাদপত্রও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।