বাংলার খবর
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাশ, দু’বার হল ভোটাভুটি
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আচার্য বিলের পর মঙ্গলবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনে পাশ হল দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, ২০২২। বিলটি পেশ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবার এই বিল পাশের ভোটাভুটিতে বিভ্রাটের অভিযোগ উঠল। এই বিল পাশ করাতে দু-দুবার ভোট হল বিধানসভায়।
মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে আনা পশ্চিমবঙ্গ হেলথ সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বিলে প্রথমে ডিভিশনের সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ। সেইমতো ভোটিঙের আগে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি বর্ণনা করেন বিধানসভার সচিবালয়ের কর্মীরা। প্রথমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটগ্ৰহণ হয়। বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন মোট ১৮৬ জন বিধায়ক। বিলের সমর্থনে ভোট পড়ে ১২৮টি। এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫০টি। কোনও নির্দিষ্ট পক্ষকে ভোট দেননি ৪জন। ভোট দেননি চারজন। কিন্তু ফলাফল বেরোনোর পর বিরোধীরা দাবি করে যে ফলাফল সঠিক নয়। তারপর ফের কাগজের স্লিপে ভোট হয়। তখন দেখা যায় পক্ষে ভোট পড়েছে ১৩৪টি। বিপক্ষে ৫১টি। ভোটদানে বিরত থেকেছেন ১জন।
আচার্য বিলের ভোটাভুটিতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। বিরোধীরা দাবি করে, তাদের যে সংখ্যক বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন সেই সংখ্যক ভোট পড়েনি। ভোটে কারচুপি হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাছ থেকে সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই পুনর্গণনার নির্দেশ দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সংখ্যায় কিছু হেরফের হয়। সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্পিকার। তাতে দেখা যায় বিধানসভার কর্মীদের ভুলেই সংখ্যায় হেরফের হয়েছিল। গোটা ঘটনার জন্য স্পিকার ক্ষমা প্রার্থনা করে, যাতে ভবিষ্যতে এই ভুল আর না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও মঙ্গলবারও ভোটাভুটিতে বিভ্রাটের সাক্ষী রইল বিধানসভা। আর এই নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।