বাংলার খবর
করোনার মাঝেই বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, আক্রান্তদের পাকাবাড়ি-শৌচাগার করে দেবে রাজ্য

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একে করোনায় রক্ষা নেই, দোসর কালাজ্বর। রাজ্যে করোনা গ্রাফচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এরই মধ্যে নতুন করে জনমানষে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘কালাজ্বর’। রাজ্যের অন্তত ১১টি জেলার ৬৫ জন মানুষ এই জ্বরে আক্রান্ত বলে সূত্র মারফৎ খবরে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যে কালাজ্বরের প্রকোপ ঠেকাতে এবার উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। সংক্রমণ মোকাবিলায় আক্রান্তদের পাকাবাড়ি তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি যাঁদের বাড়িতে ভালো শৌচালয় তাঁদের জন্যও পাকা শৌচালোয়ের ব্যবস্থা করে দেবে রাজ্যসরকার। এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অমিত শাহরর সাহায্যে গুজরাতে চার হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন শুভেন্দু! বিস্ফোরক অভিযোগ
আরও জানা গিয়েছে, যে এলাকার মানুষরা কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে সমীক্ষা চালাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্যাঁতসেতে মাটির বাড়ি বা দেওয়ালে মাছির ডিম থেকে এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ যাতে কোনও ভাবেই না বাড়ে সেজন্য আক্রান্তদের পাকাবাড়ি এবং শৌচালয় গড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের চিহ্নিত করে পাকাবাড়ি করে দেওয়ার জন্যও স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে। বিনামূল্যে কালাজ্বরে আক্রান্তদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে”।
আরও পড়ুন: ‘৩৪ ইঞ্চি মাস্ট’! পুজোয় আরও কালারফুল মদন মিত্র
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, কোনও ব্যক্তি যদি কালাজ্বরে আক্রান্ত হন তবে তার দেহের চামড়া শুকিয়ে যায়। দেখা দেয় রক্তাল্পতার মতো উপসর্গ। এই অবস্থায় রোগীকে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সবসময় পরিস্কার পরিছন্ন থাকা জরুরি।
বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে এই জ্বরে আক্রান্তদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই রোগের জীবাণু ছড়ায় মাছি থেকে। সাধারণত ১৪ দিন থাকে জ্বর। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে অতীতে কালাজ্বরের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।