বাংলার খবর
সিঙ্গুরে গড়ে উঠবে শিল্প হাব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সিঙ্গুর আন্দোলনের নেত্রী আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেদিনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আজও ভোলেননি তিনি।
শুক্রবার সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়া গ্রামে সন্তোষী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে এদিন তিনি বলেন, ”সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় ২৬ দিন অনশনে বসেছিলাম। যেদিন প্রথম আন্দোলন শুরু হয় সেদিন সন্তোষী মায়ের কাছে মানত করেছিলাম যদি জমি আন্দোলনে কৃষকরা জয়ী হয় তাহলে একটা মন্দির তৈরি করব। মায়ের ব্রত করব।”
তিনি আরও বলেন, ”২৫ সেপ্টেম্বর, সিঙ্গুরে BDO অফিসে রাত্রি ১টার সময় আমাদের মারতে মারতে বার করে দেওয়া হয়। সেই বছর পুজোর সময় সবাই যখন মজা করছিল সেই সময় আমি অসুস্থ হয়েছিলাম এমন মেরেছিল। সেই দিনগুলো আমি ভুলতে পারি না, ভুলতে চাই না। সিঙ্গুরের বাসিন্দারা সেই সময় সাহস দেখিয়েছিলেন। আমাদের পাশে থেকেছেন।” মন্দির তৈরির প্রসঙ্গ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বেচাকে (রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না)-কে বলি একটা ছোট জায়গা দিতে হবে মন্দির তৈরির জন্য। কারণ, এটা আমার ‘কমিটমেন্ট ছিল।”
এদিন সিঙ্গুরে শিল্প এবং কৃষির যৌথ উন্নয়নের কথা শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তিনি বলেন, ”আপনারা জমি ফেরত পেয়েছেন। এখানে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। একদিকে সবুজ জমি, অন্যদিকে শিল্প, সিঙ্গুরের উন্নয়নের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কোচ ফ্যাক্টি হচ্ছে উত্তরপাড়ায়। হিন্দমোটর্সে কারখানা হচ্ছে। ডানকুনিতে ফ্রেড করিডর।”
আরও পড়ুন: নেই কোনও গৃহশিক্ষক, মাধ্যমিকে তৃতীয় পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”কোলাঘাট থেকে জয়রামবাটী হয়ে বর্ধমানের নতুন পাড়া, মোড়গ্রাম মারফত একটি রাস্তা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গকে যুক্ত করবে। এই রাস্তা তৈরি করতে খরচ হচ্ছে প্রায় তিন কোটি টাকা। এছাড়া দিঘার উন্নয়নের জন্য সেখানে তৈরি করা হচ্ছে একটি জগন্নাথ মন্দির।”
আরও পড়ুন: এবার বাংলার পুকুরে জাল ফেললেই উঠবে ইলিশ! নয়া উদ্যোগ নবান্নের
তিনি বলেন, ”দিঘায় গিয়ে অনেকেই পুজো দিতে চান। তাই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘাতেও একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হবে।”