বাংলার খবর
‘দুয়ারে অশান্তি আমাকে বলুন সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব’:মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee। এদিন দার্জিলিং যাওয়ার আগে শিলিগুড়ির উত্তরা ময়দান থেকে কেন্দ্রের একের পর এক নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হন তিনি। এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ।
এদিন বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”কী সিপিএমের নেতারা? গালগুলো লাল টুকটুকে হয়েছে? কী কংগ্রেস নেতারা? কাশ্মীরে শ্রমিকরা খুন হয়েছে? আর এখানে খুন হয়েছে তৃণণূল নেতা। আগুন লাগল যাদের বাড়িতে, তারাও তৃণমূল। আর তৃণমূলকেই গালি দেওয়া হচ্ছে। তা হলেই বুঝুন, হাত, মাথা, পা সবই আমাদের কাটা গেল। হ্যাঁ, পুলিশের ভুল ছিল। খুনের পর ওদের আশঙ্কা করা উচিত ছিল কিছু একটা হতে পারে। তাই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে এদিন তিনি শিলিগুড়ির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ”রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে অশান্তি গণ্ডগোল বাঁধলে ‘দিদিকে বলো’র মতো আরও একটি নতুন হেল্পলাইন চালু করা হবে। কোথাও কোনও অশান্তি হলে এবং পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ না করলে ওই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে।”
আরও পড়ুন: বগটুই হত্যাকাণ্ডে রবিবার থেকে জখমদের বয়ান রেকর্ড করবে CBI
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আজ সকলের হাতে মোবাইল থাকে। প্রয়োজনে ছবি তুলে পাঠাবেন। সাংবাদিকদেরও বলব। প্রয়োজনে আমাকেও ছবি পাঠাতে পারেন। কেউ এই ধরনের ঘটনা ধরিয়ে দিলে সরকার থেকে পুরস্কার দেওয়া হবে। আগামী দু’মাস টাইম নেব। তার পর কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি, খুনখারাপি, অত্যাচারের অভিযোগ থাকে, আমি আর একটা সেট আপ তৈরি করব। যেটা করেছিলাম ‘দিদিকে বলো’। নামটা এখন আমি বলছি না। আপনারা ফোন করে বললে আমি সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব।”
এছাড়াও তিনি এদিন বগটুই প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্ত নিয়েও মুখ খোলেন। এদিন তিনি বলেন, ”রাজ্যে কিছু হলেই CBI CBI। দুটো ক্লাবের গণ্ডগোল বাঁধলেও এখন সিবিআই তদন্ত চাই। এই সিবিআই কী কিছু করতে পেরেছে? আসলে রাজ্যের উন্নতিতে হিংসে হচ্ছে, তাই রামপুরহাটের মতোন এমন একটা ঘটনা ঘটিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: বিবাদ ভুলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী, পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে এদিন উত্তরবঙ্গ সফর থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর আমলে রাজ্যে সরকার অনেক কাজ করেছে। মোট ২১ লাখ বিধবা ভাতা দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ৭৫ লাখ মহিলাকে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে টাকা ২ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেয়েছেন। নবম শ্রেণিতে সাইকেল এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে স্মার্টফোন দেওয়া হয়েছে।