বামফ্রন্ট প্রার্থীর মৃত্যতে ভোটগ্রহণ বাতিল ভাটপাড়ার একটি ওয়ার্ডে
Connect with us

বাংলার খবর

বামফ্রন্ট প্রার্থীর মৃত্যতে ভোটগ্রহণ বাতিল ভাটপাড়ার একটি ওয়ার্ডে

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত প্রায় দু’বছর আগেই রাজ্যের বেশিরভাগ পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। অনেক টালবাহানার পর অবশেষে আগামীকাল রাজ্যের ১০৮ পৌরসভায় নির্বাচন হতে চলেছে। ব্যস্ততা এই মুহূর্তে তুঙ্গে। কিন্তু তার মধ্যেই সিপিএমের জন্য দুঃসংবাদ।

ভাটপাড়ার সিপিএম প্রার্থী বাবলি দে ঠিক ভোটের আগেই পরলোক গমন করলেন। এই পরিস্থিতিতে ভাটপাড়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ভোট গ্রহণ আবার কবে হবে, সে প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। ভোটের আগে এই ঘটনায় শোকের ছায়া ভাটপাড়ার রাজনৈতিক মহলে। এই পৌর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দল। কিন্তু সরকার এবং নির্বাচন কমিশন রাজ্যের পুলিশ দিয়ে ভোট করার পক্ষে সওয়াল করেছিল। মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। কিন্তু, হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করার কমিশনের দাবি মেনে নিলেও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শুক্রবার বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নাকচ করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও।

তাই আসন্ন পৌর নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে এই প্রথম পৌর নির্বাচনে ত্রিস্তরীয় অবজারভার বা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। চার-পাঁচটি পৌরসভা বা দুটো জেলা পিছু আইএএস পদস্থ একজন সিনিয়র স্পেশাল অবজারভার থাকবেন। তাঁর অধীনে থাকবেন আইএএস পদস্থ একজন স্পেশাল অবজারভার। এছাড়াও প্রতিটি পৌরসভা পিছু ডব্লিউবিসিএস পদস্থ একজন জেনারেল অবজারভার থাকবেন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌর নির্বাচনের নিরাপত্তায় ৪০ থেকে ৪৪ হাজার পুলিশ থাকবেন। সেখানে দু’টি জেলা পিছু একজন করে ডিআইজি থাকবেন।

Advertisement

এছাড়াও রাপিড অ্যাকশন ফোর্স, ইএসআর, কমব্যাট ফোর্স মিলিয়ে মোট ১০ কম্পানি স্পেশাল ফোর্সকে ব্যবহার করা হচ্ছে এই পৌর নির্বাচনে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারের এই ১০৮ পৌরসভা নির্বাচনে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ২ হাজার ২৭৬। মোট ৮ হাজার প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে তৃণমূলের প্রার্থী সংখ্যা ২ হাজার ২৫৮। বিজেপির প্রার্থী ২ হাজার ২১ জন। সিপিআইএম প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৫৮৮ জন। সিপিআই-এর ৯৯, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১১৭, আরএসপির ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও কংগ্রেসের ৯৬৫ জন, বহু জন সমাজবাদী পার্টির ৩০ জন এনসিপির দু’জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮৪৩ জন। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থী রয়েছেন ১৬৮ জন।