বাংলার খবর
হাইকোর্টের রায়ে খুলে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর ছাত্রাবাস, এখনই আন্দোলন তুলছেন না পড়ুয়ারা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একটানা অচলাবস্থার পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শেষ পর্যন্ত খুললো বিশ্বভারতীর হোষ্টেল (Visvabharati University)। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের উপস্থিতিতে খুলে দেওয়া হয় মৈত্রী ছাত্র নিবাস ও খোয়াই ছাত্রী নিবাস। দুই হোষ্টেলের তালা খুললেও বিতর্ক থামছে না।
ছাত্রদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের অবমাননা করেছে বিশ্বভারতী। কারণ, হোষ্টেল খোলার সময় ছাত্রদের কোনও প্রতিনিধিকে ডাকা হয়নি। এছাড়াও শুধু দুটি হোষ্টেল খুলে দিলেই হবে না। ছাত্রছাত্রীদের থাকার সমস্ত ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে হোষ্টেল খুললেও এখনই আন্দোলন থামবে না বলেও জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা।
তাঁদের বক্তব্য, তিন দফা দাবিতে এই আন্দোলন চলছে। এখনও অনলাইন পরীক্ষার দাবি মানা হয়নি। তাই আন্দোলন চলবে।
এদিকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একটি সাক্ষাৎকার সামনে এসেছে। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন, উপাচার্য যে বহিরাগত বলেছেন। তা ঠিক নয়। উপাচার্য আসুন প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী আইকার্ড দেখাবে। কোনও বহিরাগত নেই। শুধু তাই নয়, এদিন প্রতিটি ভবনেই নিজেদের তিন দফা দাবি ছাত্রছাত্রীদের জানানোর জন্য প্রচার করা হবে বলেও পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, উত্তেজনা এলাকায়
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে বিশ্বভারতী কর্মসচিব আশিষ আগরওয়াল, জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো সেন্ট্রাল অফিসে বন্দী হয়ে আছেন। যদিও এই বিষয়ে পড়ুয়াদের দাবি, ”আমরা অবস্থান বিক্ষোভ করছি শান্তিপূর্ণ ভাবে। বিশ্বভারতীর কোনও আধিকারিককে ঘেরাও করিনি। হোস্টেল খোলা, অনলাইন ক্লাস করিয়ে অফলাইন পরীক্ষা নেওয়া যাবেনা।”
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টা পরও মেলেনি রেহাই, অবস্থান-বিক্ষোভ অব্যাহত বিশ্বভারতীতে
শুধু তাই নয়, মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে তিনদিন ধরে উত্তাল হয়ে রয়েছে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন। বন্ধ রয়েছে পঠন পাঠন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সমস্ত কাজকর্ম। এদিকে পড়ুয়াদের দাবি, যতক্ষণ না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবিগুলি না মানছেন ততক্ষণ পর্যন্ত অর্নিদিষ্ট কালের জন্য তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে এই অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে গত তিনদিন ধরে অচলায়তন অবস্থা চলছে রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতে।