ভাইরাল খবর
মুম্বই থেকে গ্রেফতার গড়িয়াহাট জোড়া খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারী ভিকি ও তার সঙ্গী, ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হচ্ছে রাজ্যে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গড়িয়াহাট কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। মুম্বইয়ের নির্মীয়মাণ ৪৮ তলা বহুতল থেকে খুনের অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ভিকি হালদার এবং তার সঙ্গী শুভঙ্কর মন্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার রাতে মুম্বইয়ের পারেল ইস্টের সেন্ট জেভিয়ার্স স্ট্রিটের কল্পতরু আভানা অ্যাপার্টমেন্টের পার্কিং থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিকিকে শনিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে এবং শুভঙ্কর মণ্ডলকে সাড়ে ন’টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। আজকেই ধৃত দু’জনকেই মুম্বইয়ের স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। দু’জনকে ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্য ফেরানোর জন্য ৩ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছে আদালত। সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মন্ডল খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর আগে ভিকির মা মিঠু হালদার-সহ আর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মিঠুকে জেরা করে জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডল নামে আরও দু’জনের খোঁজ মেলে। তার পরই হানা দিয়ে সুন্দরবনের একটি দ্বীপ থেকে জাহিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাথরপ্রতিমায় আত্মীয়র বাড়ি থেকে বাপিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ডায়মন্ড হারবারে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গ্রেফতার করা হয় জোড়া খুনের চতুর্থ অভিযুক্তকে। সকলকে লালবাজারে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তবে জাহির এবং বাপি খুনের দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করলেও তারা খুনের দায় পুরোপুরি চাপিয়েছে ভিকির উপরই।
কিন্তু পুলিশ তাঁদের এই দাবি এখনই মানতে রাজি নয়। সকলে ধরা পড়লেও অধরা থেকে গিয়েছিল ভিকি। অবশেষে মুম্বই থেকে তাকে ধরে ফেলল পুলিশ। ভিকিকে জেরা করে খুনের চিত্রটা পরিষ্কার হবে বলে আশা করছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছর ধরে পরিকল্পনা করার পর গত ১৭ অক্টোবর সুবীর চাকীর কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে পৌঁছয় ভিকি। খুনের উদ্দেশ্যে আগে থেকেই ছুরি কিনে রেখেছিল। ভিকি, জাহির এবং বাপি-সহ মোট পাঁচ জন সুবীরের বাড়িতে যায়। তার পর তারা সুবীর এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুন করে।