লাইফ স্টাইল
দেশে দেশে রকমারি চায়ের সম্ভার
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চা মানেই আমাদের কাছে একটা আবেগ। সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করতে না পারলে দিনটাই মাটি। আবার বিকালে চায়ের দোকানে ও আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে চলে চায়ের আড্ডা। চায়ের প্রতি এই প্রেম পুরনো। তবে জানেন কী বিভিন্ন দেশে রয়েছে চায়ের ঐতিহ্যের নানান কথা।
১. লম্বা, সরু গ্লাসে মরক্কোর চা পরিবেশিত হয়। দেওয়া থাকে পুদিনা, সবুজ চা পাতা আর বেশ খানিকটা চিনি। মাগরেবি পুদিনা চা বা তুয়ারেগ চা নামে ডাকা হয় একে।
২. চায়ের কাপে দুধ ভালো লাগে, নাকি লেবু- এ বিতর্ক তো বহু পুরোনো। তবে জানেন কী তিব্বতীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী চায়ে মেশায় চমরী গাইয়ের দুধ থেকে পাওয়া নোনতা স্বাদের মাখন! একে বলা হয় ‘পো চা’। পেমাগুল চায়ের একটা দলাকে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্বাল দিয়ে সেখানে যোগ করা হয় দুধ, লবণ আর মাখন। যা স্যুপের মত ঘনঘন পান করা যায়।
৩. এরপরই আসে আমাদের দেশের কথা। যেখানে খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির ময়দান সব কিছুর আড্ডায় থাকে চা। এখানে দেখা যায় মশলা চা, দুধ চা, লেবু চা। আবার বাংলাদেশের সিলেটে পাওয়া যায় সাত রঙের চা।
৪. বেশ কিছু ধাপে চা পরিবেশন করা হয় চীনে। ঢাকনাওয়ালা থালা থেকে শুরু করে সাঁড়াশি পর্যন্ত থাকে ‘গোংফু চা’য়ের অনুষ্ঠানে। চা পানের আগে তার ঘ্রাণ শোঁকা হয়। তারপর চা জ্বাল দিয়ে প্রথমে সূক্ষ্ম কারুকাজ করা পাত্রগুলোকে ধোয়া হয়। তারপর সব পাত্র একজায়গায় গোল করে রেখে চা ঢালা হয়। চা শেষ হয়ে গেলেও চায়ের ঘ্রাণে মেতে থাকেন অংশগ্রহণকারীরা।
৫. চায়ের উপাদান শুনলে মনে হবে, এ আর বিশেষ কি? সেই তো চা, চিনি আর ঘন দুধ। কিন্তু এই চায়ের বিশেষত্ব অন্য জায়গায়। চায়ের চল শুরু হওয়ার সাথেই মালয়েশিয়াতে বেড়েছে চা প্রস্তুতকারকের সংখ্যা।
৬. পরবর্তীতে আসে পাকিস্তানের নুন চা। যা তৈরি হয়, পেস্তা, কাজু, লবণ, দুশ আর মশলার সংমিশ্রণে। যাতে থাকে খানিকটা বেকিং সোডাও।
পার্থক্যটা যেমন উপাদানে, তেমনই পার্থক্য চায়ের পাত্রে কিংবা পরিবেশনে। তাছাড়া দেশে দেশে চায়ের সাথে যে সহবতটা গড়ে উঠেছে, তা-ও বড় আকর্ষণীয় সংস্কৃতি।