বাংলার খবর
জমি দিতে নারাজ, আন্দোলনের পথে মঙ্গলদ্বীপের কয়েকশো কৃষক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের আন্দোলনের কথা সারা বিশ্ববাসী দেখেছিল। নড়িয়ে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা ভারতবর্ষকে। আর এই সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের আন্দোলনের জন্যই রাজ্যে পট পরিবর্তন হয়েছিল। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল।
আবারও সেই সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের মতো আন্দোলন ফিরে আসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলায়। এবার কি তাহলে নদিয়ায়। এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে। নদিয়া জেলার ভাগীরথী এবং চুর্নী নদীর মিলনস্থলের একদিকে যেমন পায়রা ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত ঠিক তার উল্টোদিকে রয়েছে কয়েকশো বিঘে চাষের জমি। ২০০০ সালে বন্যার ফলে গ্রাম এবং চাষের জমির মাঝখানে ভাঙন ধরে একটি দ্বীপের মতো হয়ে যায়। এলাকাবাসী এই দ্বীপের নাম দিয়েছে মঙ্গলদ্বীপ। সমস্যা এই মঙ্গলদ্বীপ নিয়েই। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার এখানে পর্যটন কেন্দ্র খুলতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার আবার এখানে পর্যটন কেন্দ্র খুলতে চায়। আর সেই কারণে সরাসরি জমি অধিগ্রহণের জন্য যায় সরকার। কিন্তু গ্রামবাসীদের আন্দোলনের জেরে পিছু হঠতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চাষের জমিতে ধান, পাট এবং সব্জি চাষ হয়। এবং কয়েকশো পরিবার এখানে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ফলে এই জমি দেওয়া যাবে না বলেই দাবি মঙ্গলদ্বীপের বাসিন্দাদের। এই বিষয়ে প্রশাসন গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তারা অনড় থাকে। তাদের যুক্তি, কোনও মতেই মঙ্গলদ্বীপের জমি অধিগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের ধাঁচেও আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।