ভাইরাল খবর
Viral Video: ছাত্রীর সন্তানকে নিজের কোলে তুলে নিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন অধ্যাপক, কুর্নিশ নেটদুনিয়ার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একহাতে বা একসঙ্গে সমান তালে দুটো কাজ করা কখনই সম্ভব নয়। কিন্তু ব্যস্ততার এই যুগে দাঁড়িয়ে আমাদের একফোঁটা অবসরের ফুসরত নেই। প্রতিনিয়ত নিজের-নিজের ক্ষেত্রের কাজ করে চলতে হচ্ছে সকলকে। আর এই কাজ করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন এক পড়ুয়ার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন খোদ কলেজের অধ্যাপক। পড়ুয়ার প্রতি অধ্যাপকের এমন সহানুভূতিশীলতার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের মন জিতে নিয়েছেন ওই অধ্যাপক। শুধু তাই নয়, তাঁর এমন মহান কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেট নাগরিকরা।
ভাইরাল ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, আমেরিকার Brigham Young University-এর পড়ুয়া ম্যাডি মিলার তাঁর কোলের সন্তানকে নিয়েই অধ্যাপকের লেকচার শুনছেন। এতদূর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বাঁধ সাধে পড়া নোটডাউন করার সময়। সদ্যজাত সন্তানকে কোলে নিয়ে কিছুতেই ঠিকমতো পড়া লিখতে পারছিলেন না ম্যাডি। তাঁর এই অবস্থা দেখে তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন তাঁর অধ্যাপক হঙ্ক স্মিথ।
আরও পড়ুন: অমানুষিক পরিশ্রমের পরও বেতন বাড়াচ্ছেন না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, তারপর যা করলেন যুবক
জানা গিয়েছে, এরপর ওই অধ্যাপক ম্যাডির দিকে এগিয়ে আসেন। এবংব তাঁর ছয় মাসের কোলের সন্তানকে নিজের কোলে তুলে খুদের সঙ্গে খেলার ছলে পড়ানো শেষ করেন এবং ওই ছাত্রীকে নোট লিখতেও সাহায্যও করেন। এদিকে এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই অধ্যাপককে ধন্যবাদ জানিয়ে ম্যাডি লিখেছেন, ”হঙ্ক স্মিথের মতোন শিক্ষক পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। আমি সত্যিই গর্বিত তিনি আমার অধ্যাপক। যিনি পড়ুয়াদের সমস্যার কথা এতটা ভাবেন।”
শুধু তাই নয়, ম্যাডির ওই পোস্ট মুহুর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক অনুরাগীরা পোস্টটি রি-টুইট করে ওই অধ্যাপকের কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তাঁর দীর্ঘায়ুও কামনা করেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: প্রেম বড় বালাই! হবু স্ত্রীকে ‘উপহার’ দিতে চাঁদে জমি কিনে দিলেন যুবক
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে এমনই একটি ভিডিয়ো ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সময় ভাইরাল ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছিল, একজন স্কুল শিক্ষিকা তাঁর ছাত্রীর বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ক্লাসে পড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই শিক্ষিকার মেয়ে তাঁর মায়ের এমন কাজকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ”আমার মা-হয় আমার রোল মডেল। তাঁর ছাত্রী এদিন তাঁর বাচ্চা শিশুটিকে রাখার জন্য কোনও বেবি শেল্টার পাননি। তারফলে সন্তানকে কোলে নিয়েই সে স্কুলে চলে আসে। যদিও একভাবে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে তিন-চার ঘণ্টা ক্লাস করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল। তখনই আমার মা এগিয়ে আসেন। এবং ওই ছাত্রীর বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে ক্লাস করাতে থাকেন।”