হোম আইসোলেশনের নয়া গাইডলাইন প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, মেয়াদ কমিয়ে করা হল ৭ দিন
Connect with us

দেশের খবর

হোম আইসোলেশনের নয়া গাইডলাইন প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, মেয়াদ কমিয়ে করা হল ৭ দিন

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার সঙ্গে দোসর হয়েছে ওমিক্রন। তবে ৯০ শতাংশ করোনা আক্রান্তই উপসর্গহীন। এবং বাকিদের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে মৃদু উপসর্গ। তাই হোম আইসোলেশন বা বাড়িতে নিভৃতাবাসে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এবার হোম আইসোলেশনের নয়া গাইডলাইন ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আর নতুন এই গাইডলাইনে হোম আইসোলেশনের মেয়াদ কমানো হয়েছে। মৃদু উপসর্গ থাকলে আইসোলেশনের মেয়াদ কমিয়ে ৭ দিন করার কথা বলা হয়েছে নয়া গাইডলাইনে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরপর তিন দিন যদি জ্বর না আসে, তাহলে আইসোলেশন থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এত দিন করোনা পরীক্ষা হওয়ার পর থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হত। এবার সেই মেয়াদ কমানো হল। অর্থাৎ, করোনা পরীক্ষা হওয়ার দিন থেকে শুরু করে অন্তত ৭ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে আক্রান্তকে। যদি শেষ তিন দিন কোনও জ্বর না আসে, সে ক্ষেত্রে ৭ দিনেই আইসোলেশন শেষ হয়ে যাবে।

তাহলে আর টেস্ট করানোর প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ শেষ তিন দিনে জ্বর এলে আইসোলেশন জারি থাকবে। এবং টেস্ট করাতে হবে। উপসর্গ না দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে গাইডলাইনে। এছাড়াও গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোভিড আক্রান্তকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে পৃথক ভাবে নির্দিষ্ট ঘরে নিভৃতবাসে থাকতে হবে। বিশেষত যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, কিডনির অসুখ, হার্টের সমস্যা প্রভৃতি কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন পরিজনদের থেকে দূরে থাকতে হবে। যে ঘরে রোগী থাকবেন, সেই ঘরে যথেষ্ট আলো, বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে। খোলা রাখতে হবে জানালা। রোগীকে সর্বক্ষণ ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরতে হবে।

Advertisement

আট ঘণ্টা অন্তর বা মাস্ক ভিজে গেলে বদলে ফেলতে হবে। অন্য কেউ ঘরে প্রবেশ করলে পরতে হবে এন ৯৫ মাস্ক। ব্যবহৃত মাস্ক ফেলার আগে সেটিকে ছিঁড়ে কোনও একটি আবর্জনার ব্যাগে রাখতে হবে ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা। রোগীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান বা ফলের রস বা অন্য স্যুপ, চা জাতীয় পানীয় পান করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে সব প্রয়োজনীয় নিয়ম পালন করতে হবে। অন্তত ৪০ সেকেন্ড ধরে সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

কোভিড আক্রান্তের ব্যবহৃত বাসন অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। যে ঘরে আক্রান্ত থাকবেন সেই ঘরের যে যে জিনিসপত্রে সচরাচর হাত পড়ে সেগুলিকে নিয়মিত সাবান জল বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। পালস অক্সিমিটার দিয়ে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপতে হবে। প্রতিনিয়ত মাপতে হবে দেহের তাপমাত্রা। ৩ দিনের বেশি ১০০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রার জ্বর থাকলে, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বা ‘এসপিওটু’ ৯৩ শতাংশের কম হয়ে গেলে, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি কিংবা মানসিক সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.