বন্যপ্রাণ আইনকে তোয়াক্কা না করে চলছে অবাধ প্রবেশ
Connect with us

বাংলার খবর

বন্যপ্রাণ আইনকে তোয়াক্কা না করে চলছে অবাধ প্রবেশ

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজঃ সংরক্ষিত বনাঞ্চল প্রবেশ করে ছবি ও ভিডিওগ্রাফি করা নিষেধ, জ্বলজ্বল করছে দফতরের কড়া নিষেধাজ্ঞার বোর্ড। তারপরও যে এক শ্রেণীর মানুষ বন দফতরের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে বনকর্মীদের নজর এড়িয়ে বন্যপ্রাণ আইনকে তোয়াক্কা না করে অবাধে প্রবেশ করছে জঙ্গলের ভেতরে। শুধু তাই নয় ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলের ভেতর বসেই মদ্যপান করে সেখানে কাচের বোতল প্লাস্টিকের গ্লাস ফেলে আসছে।

বর্ষার মৌসুম বন্যপ্রাণীর প্রজননের সময় জঙ্গলের চারপাশে সর্বদা কড়া নজর দাড়িতে জঙ্গল পাহাড়ায় বনকর্মীরা। সম্প্রতি কলকাতা থেকে টলিপাড়ার একটি বাংলা সিনেমা শুটিং করতে এসে সংরক্ষিত জঙ্গলের ওপর ড্রোন উড়ানোর কারণে সেই প্রযোজক সংস্থার ড্রোন বাজেয়াপ্ত করে জরিমানা করেন জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মোরাঘাট রেঞ্জ। এছাড়াও মাঝেমধ্যেই দেখা যায় জঙ্গলের গভীরে ঢুকে মদ্যপান করার অপরাধে বেশ কয়েকজনকে তুলে নিয়ে এসে জরিমানা করতে। তাতেও দিনের পর দিন যেভাবে একশ্রেণীর বহিরাগতরা জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে বন্যপ্রাণীদের করিডরের মধ্যে বসে মদ্যপান করে প্লাস্টিক এবং কাচের বোতল ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়ে আসছে, তাতে বিপন্ন হতে পারে বন্যপ্রাণ। বাড়তে পারে মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত।

এবারে বহিরাগতদের জঙ্গলের ভিতর প্রবেশ রুখতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই লাঠি হাতে আসরে নামলো মোরাঘাট রেঞ্জের বন কর্মীরা। পাশাপাশি জঙ্গলের ভেতরে সমাজ বিরোধীদের ফেলে আসা মদের বোতল ও প্লাস্টিক পরিষ্কার করতে যৌথ ভাবে আসরে নামল জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মরাঘাট রেঞ্জ ও পরিবেশ প্রেমী সংস্থা আরন্যক। রেঞ্জ অফিস সূত্র গেছে, এদিন সকাল থেকেই বহিরাগতদের আটকাতে খট্টিমারি জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে যে সকল স্থানে লোকজনের যাতায়াত বেশি সেই সমস্ত এলাকায় জঙ্গলের ভিতরে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের গ্লাস মদের বোতল পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে পরিষ্কার করা হয় পাশাপাশি জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ নিষেধ এবং ভিডিওগ্রাফি করা ছবি তোলা সতর্কতামূলক বোর্ড লাগানো হয়। বহিরাগতদের ঠেকাতে এ ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে।

Advertisement

এদিক, গয়েরকাটার সংস্থা আরণ্যকের সদস্য কৌশিক বাড়ুই জানান, ‘আজকে মোরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীদের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় যেসব স্থানে বহিরাগত রয়েছে মদের বোতল ও চিপসের প্যাকেট প্লাস্টিক ফেলে দিয়ে চলে যায় সেগুলো করি । এগুলো বন্যপ্রাণীদের ক্ষেত্রে ভয়ংকর ক্ষতিকারক। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতামূলক বোর্ড লাগানো হয়। যদি এইসব এলাকায় মদ্যপান করার সময় কেউ ধরা পড়ে তাহলে জরিমানা রোধ দুটোই হবে, তাই রেঞ্জ অফিস কড়াভাবে এগুলো আটকাতে আসরে নেমেছে।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.