বাংলার খবর
ডালখোলা পৌরসভায় জমে উঠেছে কাকা-ভাইপোর লড়াই!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ডালখোলা পৌরসভা নির্বাচনে কাকা-ভাইপোর লড়াইয়ে এবার জমজমাট নির্বাচনী যুদ্ধ। বিভিন্ন নির্বাচনে পারিবারিক লড়াই নতুন না হলেও, ডালখোলার রাজনীতিতে এই প্রথম।
ডালখোলা পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা রাজনীতিবিদ কৈলাশ সাহাকে এবার তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট না দিয়ে, তাঁর ভাইপো রক্ষিত সাহাকে টিকিট দিয়েছে। সেইমতো মঙ্গলবার দলের হয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন রক্ষিত সাহা। এরপরই নির্দল হিসাবে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করেছেন রক্ষিতের কাকা কৈলাশ সাহা। নির্বাচনী লড়াইয়ে কাকা-ভাইপোর এই নির্বাচনী লড়াইয়ে হার-জিত তাঁদের সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা সেটাই এখন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে বড় আলোচ্য বিষয়। কৈলাশ সাহা অবশ্য বলেছেন, ‘ডালখোলার রাজনীতিতে আমাদের পরিবার শুরু থেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের পরিবারের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে, জঘন্য রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা। গত ২০০৩ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ডালখোলা পৌরসভা নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমার স্ত্রী অভিলাষ সাহা জয় লাভ করে কাউন্সিলর হন।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের পৌরসভা নির্বাচনে ৫ এবং ২০১৩ সালে ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিট থেকে আমি জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলাম। পরবর্তীতে কাউন্সিলার থাকাকালীন আমি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি। ভাইপোর বিরুদ্ধে আমার কোনও রাগ নেই।’ কৈলাশবাবুর ভাইপো রক্ষিত সাহা প্রথমবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন। তাঁর প্রতিপক্ষ নিজের কাকা। তাই, লড়াইটা যে খুব সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য। রক্ষিত সাহা বলেছেন, ‘দল কাকে টিকিট দেবে আর কাকে দেবে না, সেটা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। দল ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমাকে যোগ্য মনে করেছে, তাই আমাকে টিকিট দিয়েছে। নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে কাকা মনোনয়ন কেন করলেন, তা আমার জানা নেই। তবে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে লড়াইটা অন্য জায়গায় আর আমাদের কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক অন্য জায়গায়। রাজনৈতিক লড়াইয়ে আমাদের সম্পর্কে কোনও আঁচ আসবে না। নির্বাচনী প্রচার শুরু করার আগে আমি প্রথমেই কাকা ও কাকিমার কাছে আশীর্বাদ নিয়ে প্রচার শুরু করব। কাকা আমাকে তাঁর আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত করবেন না।’