রুশ সেনাকে বিভ্রান্ত করতে নয়া কৌশল ইউক্রেনের! খারকিভ ও কিভে জোর লড়াই, ওড়ান হল গ্যাসের পাইপলাইন, তেলের ভান্ডার
Connect with us

দেশের খবর

রুশ সেনাকে বিভ্রান্ত করতে নয়া কৌশল ইউক্রেনের! খারকিভ ও কিভে জোর লড়াই, ওড়ান হল গ্যাসের পাইপলাইন, তেলের ভান্ডার

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত চারদিন ধরে প্রবল এবং একতরফাভাবে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ধারে, ভারে, শক্তিতে রাশিয়ার ধারে কাছেও নেই ইউক্রেন। ইতিমধ্যেই আমেরিকা-সহ জার্মানি, ফ্রান্স ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

এতদিন লড়াইটা একতরফা হলেও অবশেষে রুশ সেনাকে প্রত্তুত্তর দিতে শুরু করেছে ইউক্রেন। রুশ সেনা ইউক্রেনের রাজধানী কিভে ঢুকে পড়লেও সামরিক অভিযানের চতুর্থ দিনে খারকিভ ও কিভে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ সেনা। এই দুই জায়গাতেই রুশ এবং ইউক্রেন সেনার মধ্যে চলছে জোর লড়াই। রুশ সেনাকে বিপাকে ফেলতে ও বিভ্রান্ত করতে নয়া কৌশল নিয়েছে ইউক্রেন। রুশ সেনারা যাতে ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যেতে বা পথ চিনতে না পারে সেই কারণে রাস্তার সমস্ত দিক নির্দেশ এবং চিহ্ন মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেন। রাস্তা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণকারী ইউক্রেনীয় সংস্থা ‘ইউক্রেভটোডর’ কে এই কাজ দেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘শত্রুদের যোগাযোগ দুর্বল। তারা স্থলপথে দিক নির্নয় করতে পারে না। আসুন আমরা তাদের সরাসরি নরকে যাওয়ার জন্য সাহায্য করি।’ খারকিভ ও কিভে দুই দেশের সেনার মধ্যে প্রবল লড়াই চলছে।

একের পর এক রকেট হামলা করে খারকিভে গ্যাসের পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। অন্য দিকে, কিভের তেল ভান্ডারেও একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে রুশ সেনা। কিভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকোর বাড়িতে ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। তিনি নিজেই সেই কথা জানিয়েছেন। তবে আক্রমণে আরও ঝাঁঝ বাড়ানোর জন্য সেনা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া। শহরের জনবহুল এলাকা, বাড়িতে আছড়ে পড়ছে একের পর এক রকেট লঞ্চার। তারপরই খারকিভ এবং কিভে শুরু হয়েছে দুই সেনার মধ্যে জোর লড়াই। একটা সময় রাশিয়া দাবি করেছিল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জজেলেনস্কি রাজধানী কিভ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি কিভের রাস্তা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার কিভেই আছেন। এমনকি তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, যেন কোনোভাবেই রুশ আক্রমণের সামনে তাঁরা আত্মসমর্পণ না করেন। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন। রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলোকে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেনের এই পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরী বৈঠক ডেকেছে। সোমবার এই নিয়ে সদস্য দেশ গুলোর মধ্যে ভোটাভোটি হওয়ার কথাও রয়েছে।

Advertisement