বাংলার খবর
আনিসের হত্যার দিন কর্তব্যরত দুই পুলিশকর্মী ও এক হোমগার্ড সাসপেন্ড

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : তিন দিন কেটে গেলেও আনিস খানের হত্যার সঙ্গে যুক্তরা এখনও অধরা। প্রয়াত ছাত্রের পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে যে এই হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে পুলিশ। এই হত্যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এবং ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দলকে। ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে সিট। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে সাসপেন্ড করা হল হাওড়া আমতা থানার দুই পুলিশকর্মীকে এবং এক হোমগার্ডকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে এই তিনজনই থানায় ডিউটিতে ছিলেন। এবং রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন। ওই রাতেই আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায় বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় ছাত্রনেতা আনিসকে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে চার জন সে রাতে বাড়িতে ঢুকেছিলেন। একজন আনিসের বাবার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আটকে রাখেন। বাকি তিন জন ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন আনিসকে। সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মীরা হলেন এএসআই নির্মল দাস এবং কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম। কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে।
এছাড়াও এই ঘটনায় থানার আরও একজন ওসি এবং অফিসারকে ভবানী ভবনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। ঘটনার দিন পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়েই এই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও আরও এক ভিলেজ-পুলিশেরও খোঁজখবর চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এদিকে সোমবার থেকেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত সিট। এই বিশেষ তদন্তকারী দলে রয়েছেন রাজ্যের এডিজি (সিআইডি) জ্ঞানবন্ত সিংহ, ডিআইজি (সিআইডি) মিরাজ খালিদ এবং ব্যারাকপুরের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। ঘটনার দিন রাত্রে যে চারজন ব্যক্তি পুলিশের পোশাকে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা আদৌ পুলিশ কিনা, আর যদি তাঁরা পুলিশ হয়ে থাকেন বা অন্য কেউ হন- তাহলে তাঁরা কারা, কেনই বা তাঁরা আনিসের বাড়ি গিয়েছিলেন, আনিসকে কি ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, এই সব প্রশ্নের উত্তরই খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।