বাংলার খবর
সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল দু’জনের, মর্মান্তিক ঘটনা খানাকুলে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল দুই বাইক আরোহীর। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের অনন্তনগরে। ঘটনায় আহত আর এক যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে,মৃতদের নাম সেখ সাদ্দাম(২৩) ও সেখ ইরফান(২৫)। দুজনের বাড়িই খানাকুলের ঘোষপুর এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পোল গ্রামের বাসিন্দা কুরবান খাঁ। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই ক্যাটারিং এর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গড়েরঘাটের দিকে ক্যাটারিং এর কাজেই একটি বাইকে করে যাচ্ছিলেন তিনজন। অনন্তনগরের কাছে পথে একটি সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা।
অন্যদিকে, মাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, ইটাহার থানার তীতপুকুর গ্রামে। মৃত ওই মহিলার নাম সালমা মুর্মু ( ৬২)। এই ঘটনায় সামলার অন্য এক ছেলে জুমা হেমব্রম ও তার ভাই সীঞ্চয় হেমব্রমের বিরুদ্ধে ইটাহায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অবতরণের সময় দুর্ঘটনা! ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে চিনে ভেঙে পড়ল বোয়িং-৭৩৭
স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার তীতপুকুরের বাসিন্দা সালমা মূর্মু তার ভারসাম্যহীন ছেলে সীঞ্চয় হেমব্রমের সঙ্গে থাকতেন। ছেলে সীঞ্চয় তার মাকে উপর প্রতিনিয়ত মারধোর করত বলে অভিযোগ। গতকাল সীঞ্চয় তার মাকে যখন মারধোর করছিল সেই সময় তার আরেক ভাই চিৎকার করে। সেই চিৎকারের আওয়াজ শুনে পাড়াপ্রতিবেশীরা ছুটে আসতে তাঁদেরকেও মারধোর করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন রাতে ১০ কিলোমিটার দৌড়ান তিনি, যুবকের কীর্তি অবাক করবে আপনাকেও
জানা গিয়েছে, তড়িঘড়ি সালমা মুর্মুকে ইটাহার ব্লক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসলে চিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সীঞ্চয়ের বিরুদ্ধে ভাই জুমা হেমব্রম ইটাহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ।