বাংলার খবর
টোটো চালকদের সঙ্গে পালালেন একই পরিবারের দুই গৃহবধূ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কিছুদিন আগেই হাওড়ার বালির দুই গৃহবধূ রাজমিস্ত্রিদের প্রেমে পড়ে ঘর-সংসার ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। দুই জা-এর এই কীর্তিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। স্বামীরা কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। তাই প্রেমের টানে দুই টোটো চালকের সঙ্গে চম্পট দিলেন একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। এর মধ্যে একজনের আবার পাঁচ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। যদিও প্রেমের টানে ঘর ছাড়ার সময় সন্তানকেও সঙ্গে নিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দুলপোতা গ্রামে। ঘরের বউদের ঘরে ফেরাতে পঞ্চায়েত ও থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধ শ্বশুরমশাই শিবুপদ পাল। তিনি জানিয়েছেন, গত শনিবার বিকালে ননদের বাড়ি যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দুই বউ। ছোট বউ ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যান। তারপর আর ফিরে আসেননি। যদিও তিনি দাবি করেছেন, বউমারা ফিরে এলে, তিনি তাঁদের মেনে নেবেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাতক দুই গৃহবধূর নাম মিঠু পাল ও পবিত্রা পাল। মিঠু বাড়ির মেজ বউ এবং পবিত্রা ছোট বউ। টোটোয় যাতায়াত করতে গিয়েই তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদারের সঙ্গে। শিবুর আবার সিন্দ্রানি বাজারে চালের দোকানও আছে। টোটোয় যাতায়াত করতে করতেই বিশ্বজিৎ এবং শিবুর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় দুই গৃহবধূর। পরে সেই বন্ধুত্বই প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। আর সেই প্রেমের টানে দুই টোটো চালকের হাত ধরে ঘর-সংসার ছাড়লেন দুই গৃহবধূ। তবে ঘর থেকে পালানোর সময় পবিত্রা তাঁর পাঁচ বছরের সন্তানকেও সঙ্গে নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের বড় ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র থাকেন। মেজ ও ছোট ছেলে পুনেতে এক নির্মীয়মান সংস্থায় কাজ করেন। বাড়িতে বৃদ্ধ শ্বশুরকে নিয়ে থাকতেন মিঠু ও পবিত্রা। অপরদিকে দুই টোটো চালক বিশ্বজিৎ মজুমদার ও শিবু পালও বিবাহিত। তাঁদেরও সংসার রয়েছে। স্বামীদের এই কীর্তিতে বেজায় চটেছেন তাঁদের স্ত্রী’রা। একাকীত্ব কাটাতে এবং অতৃপ্ত ভালোবাসার টানেই দুই গৃহবধূ ঘর ছেড়েছেন বলে অনুমান প্রতিবেশীদের। পাঁচজনকে খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।