দেশের খবর
ফুটপাত বাঁচাতে পায়ে হেঁটে কহিমা থেকে কন্যাকুমারী যাত্রা দুই বন্ধুর!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস বলেছিলেন, ‘ওয়াকিং ইজ দ্য বেস্ট মেডিসিন’। আর সেই হাঁটার মাধ্যমেই সুস্থ থাকা এবং সাইকেলিং ও পথচারীদের জন্য ফুটপাতের ব্যবস্থা যাতে থাকে তার জন্য প্রায় চার হাজার কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে পাড়ি দেওয়ার জন্য বেড়িয়ে পড়েছেন দুই বন্ধু! তাঁরা হলেন পঞ্জাবের মোহালির গুরকিরত সিং (২৮) এবং কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা অক্ষয় আড়লিকাট্টি (২৭)।
দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ার এবং খুব ভালো বন্ধু। তাঁরা গত ২০ নভেম্বর নাগাল্যান্ডের কোহিমা থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছেন। লক্ষ্য ১০০ দিনে কন্যাকুমারী পৌঁছে যাওয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে ২০তম দিনে তাঁরা ধূপগুড়ি এসে পৌঁছেছেন। সময় কম তাই হাঁটতে হাঁটতেই গুরকিরত সিং বলেন, ‘পায়ে হাঁটার উপকারিতা অনেক। শরীর সুস্থ রাখার জন্য পায়ে-হাঁটা অত্যন্ত জরুরী । বিশেষ করে যুব সমাজের হাঁটা খুব দরকার। সেইসঙ্গে রাস্তা থাকলেও ফুটপাত নেই। মানুষকে তাই ফুটপাত নয়, রাস্তা দিয়েই হাঁটা-চলা করতে হয়।
আমরা চাই ফুটপাতের ব্যবস্থা থাক সব জায়গায় এবং মানুষ হাঁটার মাধ্যমে সুস্থ থাকুক। এই কারণেই আমরা পায়ে হেঁটে নাগাল্যান্ড থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত যাত্রা শুরু করেছি।’ অপরদিকে তাঁর এই দীর্ঘ পথের সঙ্গী অক্ষয় আড়লিকাট্টি বলেছেন, ‘বর্তমানে যে পরিমাণ দুর্ঘটনা ঘটছে তার একটা অংশের কারণ হচ্ছে ফুটপাত না থাকা। তাই মানুষের যেমন হাঁটার প্রয়োজন রয়েছে, ঠিক তেমনই হাঁটার জন্য রাস্তার পাশে ফুটপাতের প্রয়োজন রয়েছে। সরকার যেমন করে রাস্তা তৈরি করছে, ঠিক একইভাবে ফুটপাতের ওপর সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই আমরা এই যাত্রা শুরু করেছি। আমরা প্রতিদিন অন্তত ৪০ কিলোমিটার করে হাঁটার লক্ষ্য নিয়েছি।’