রাজনীতি
রাজ্যপালের বাজেট ভাষণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, বিজেপির দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ৭ তারিখ সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) বক্তৃতায় বাধাদানের অভিযোগ নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। আর এর মধ্যেই এই অভিযোগে চলতি বাজেট অধিবেশন থেকেই দুই বিজেপি (BJP) বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার অধিবেশনেই নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার। ফলে গোটা অধিবেশনেই আর উপস্থিত থাকতে পারবেন না বিজেপি’র দুই বিধায়ক।
বুধবার অধিবেশন শুরু হতেই পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন স্পিকার। তারপরেই মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে গোটা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত গত সোমবার প্রথা মেনে বাজেট অধিবেশনের ভাষণ দিতে বিধানসভায় পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তিনি ভাষণ দিতে উঠলে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বিধ্বস্তে দেশ থেকে পাক পড়ুয়াকে উদ্ধার, টুইটারে ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে
তাঁদের দাবি, রাজ্যপালের ভাষণে পুরভোটে সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ নেই। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর রাজ্যপাল ভাষণ না দিয়েই বিধানসভা ছাড়তে চান। তখনই তৃণমূল (TMC) বিধায়করা রাজ্যপালকে ঘিরে ধরে ভাষণের প্রথম এবং শেষ লাইন পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেন। তারপর প্রথম ও শেষ লাইন পাঠ করেই বিধানসভা ছাড়েন রাজ্যপাল। এরপরই পরস্পরের বিরুদ্ধে অধিবেশন ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যপালের ভাষণ বন্ধ করে বিজেপি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাথরুমের জল খেয়েই কেটেছে দিন, বাড়ি ফিরেও আতঙ্কের প্রহর কাটছে না রুপমদের
এদিকে বিজেপি পাল্টা অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছেন। রাজ্যপাল হেনস্তার অভিযোগ তুলে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ এনেছে তৃণমূলের পরিষদীয় দল। এই সবকিছুর মধ্যেই এবার বিজেপির দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত এই তরজাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।