ঝাড়গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত দুই

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কালীপুজোর দিন পাঁচ বছরের এক আদিবাসী শিশু কন্যা নিখোঁজের ঘটনায় ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার বাবুরামপাথরা গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। কালীপুজোর দিন দুপুর থেকে দুলালী মান্ডি নামে প্রায় পাঁচ বছরের ওই শিশু কন্যা নিখোঁজ বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

শুক্রবার ওই শিশু কন্যার বাবা সিংরাই মান্ডি নয়াগ্রাম থানায় গিয়ে তাঁর মেয়ে নিখোঁজ বলে অভিযোগ দায়ের করে এসেছিলেন। নয়াগ্রাম থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে তাঁর প্রতিবেশী দুই যুবক ওই শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে মাঠের দিকে গিয়েছিল। শুক্রবার রাতেই প্রতিবেশী সাগুন মূর্মু নামে ২৫ বছর বয়সী এক যুবক সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে সাগুনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ জানতে পারে ওই শিশুকন্যাটিকে ধর্ষণ করে খুন করে ধান জমির মাঝে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে অভিযুক্ত দুই যুবক। রবিবার দুপুরে অভিযুক্ত দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে নয়াগ্রাম থানার পুলিশ বাবুরামপাথরা গ্রামের ধান জমির মাঝখান থেকে দুলালী মান্ডির নিথর দেহ উদ্ধার করে।

কী কারণে অভিযুক্ত দুই যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত দুই যুবকের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়া মৃত ওই শিশুর বাবা জানিয়েছেন, ‘আমি পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম আমার মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য। পুলিশ অবশেষে আমার মেয়েকে জীবিত নয় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।’

ওই ঘটনার ফলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নয়াগ্রাম থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঠিক কী কারণে ওই শিশু কন্যাটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ধৃত দুই যুবক ওই শিশু কন্যাটিকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। এরপর তারা ওই শিশু কন্যাটিকে ধান জমির মাঝে মাটির গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দিয়েছিল।’