বাংলার খবর
ভবানীপুরের জন্য আরও কুড়ি কোম্পানি আধাসেনা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : আজ ভবানীপুরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে উপনির্বাচন। তবে গোটা রাজ্য তথা দেশের চোখ ভবানীপুর কেন্দ্রের দিকেই। নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়ে এবার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাত থেকে নাগাড়ে চলা বৃষ্টির জেরে বানভাসি কলকাতা। এই অবস্থায় ভবানীপুর উপনির্বাচনে কী ভাবে ভোট প্রক্রিয়া চলবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল নির্বাচন কমিশন।
তবে আজ ভোট চলাকালীন যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তার জন্য আগেভাগেই সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কমিশন। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে স্বচ্ছ পলিথিন ব্যাগে মুড়ে রাখা হয়েছে ইভিএম। সমস্ত ভোটকর্মীদের রেনকোট দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি বুথে শেডের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ভবানীপুরে বেশি জল জমলে বোটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং সিভিল ডিভেন্স দফতর দু’টি নৌকার বন্দোবস্ত রেখেছে। ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে কলকাতা। খামখেয়ালি আবহাওয়া। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোনও ভোটার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে পড়েন এবং ভোট দিতে যেতে না পারেন তাহলে কমিশনের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করতে পারেন।
রিটার্নিং অফিসার বা সেক্টর অফিসার ওই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তাঁর ভোটদান কেন্দ্রে নিয়ে যাবে। এবং ভোট দেওয়ার পর তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে বলে কমিশন জানিয়েছে। কমিশনের টোল ফ্রি নম্বরটি হল ১৯৫০। অন্যদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। দুর্যোগের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও তৎপর কমিশন। আগেই বলা হয়েছিল ভবানীপুরে ১৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকবে। নতুন করে আরও ২০ কোম্পানি, মোট ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা রাখা হয়েছে। বুধবার কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় ভবানীপুরের অতিরিক্ত ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। অতিরিক্ত কুড়ি কোম্পানি বাহিনীকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সিএপিএফ এর নোডাল অফিসার এবং এডিজি আইন-শৃঙ্খলার সঙ্গে বৈঠকও করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ভবানীপুর কেন্দ্রের ১৩টি এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। কুড়ি কোম্পানি বাহিনীকে টহলদারি কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এই বৈঠকে।
সমস্ত বুথগুলোর ১০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ১০০ মিটারের বাইরে দায়িত্ব সামলাবেন কলকাতা পুলিশের অফিসাররা। যদিও বুথের ১০০ মিটারের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় জাওয়ানদের উপরই বলবৎ থাকছে। প্রতি ভোট কেন্দ্রে রয়েছে মাইক্রো অবজার্ভার। রয়েছে রাজ্য পুলিশের ২ হাজার ৫৬৩ জন আধিকারিক। রয়েছে ক্যুইক রেসপন্স টিমও। সব বুথেই ১০০ শতাংশ সিসিক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়ছে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থাও। গত সোমবার বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হয়ে প্রচার করতে গিয়ে যদুবাবুর বাজার এলাকায় হেনস্থা হতে হয়েছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই নিরাপত্তায় আর কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কমিশন ও পুলিশ।
