বাংলার খবর
পোড়ো বাড়িতে চলছে সুরঙ্গ খনন, গুপ্তধনের খোঁজে নাকি তন্ত্র সাধনা! দেগঙ্গায় চাঞ্চল্য

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাত বাড়লেই এলাকার এক পুরনো বাড়িতে শুরু হয় সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ। বাতাসে ভাসে সুগন্ধি। এলাকাবাসীর সন্দেহ সেই বাড়িতেই হয় তন্ত্র সাধনা। আবার কোনও কোনও প্রতিবেশীর অভিযোগ, গুপ্তধনের খোঁজেই বাড়ির মালিক সুরঙ্গ খুঁড়েছেন। যদিও বাড়ির মালিকের দাবি, তাঁকে নাকি এক তান্ত্রিক বলেছেন এই বাড়ির তলায় নাকি নরকঙ্কাল রয়েছে। আর তার হাত থেকে বাঁচতে তিনি নাকি এই সুরঙ্গ খনন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার আজিজ নগরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার একটি পোড়ো বাড়িতে গত দুই বছর ধরে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছে। আর তাই দেখেই প্রতিবেশীদের মনে সন্দেহ ও কৌতূহলের উদ্রেক হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বাড়ির মালিক ওই সুরঙ্গ খনন করছেন। কিন্তু বাড়ির মালিক তরুণকান্তি চৌধুরীর দাবি, তিনি তান্ত্রিকদের থেকে জানতে পারেন ওই বাড়িতে নাকি নরকঙ্কাল রয়েছে। সেই নরকঙ্কাল খুঁজতেই তিনি নাকি সুরঙ্গ খনন করছেন। তা নিয়েই আপত্তি জানিয়ে এলাকাবাসীরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে আপাতত সুরঙ্গ কাটার কাজ বন্ধ রয়েছে ওই বাড়িতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘গত বছর দেড়েক ধরে ওই বাড়িতে সুরঙ্গ কাটার কাজ চলছে। মাঝেমধ্যেই ওই বাড়িতে তান্ত্রিকরা যাতায়াত করেন। ধূপ-ধুনো জ্বালানো হয়। আমাদের মনে হয় কোনও কিছু গোপন করার চেষ্টা চলছে। গুপ্তধন খুঁজতেই ওই সুরঙ্গ কাটা হচ্ছে। এতে পাড়ায় একটা সন্দেহ ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভয় পাচ্ছে। গোটা বিষয়টি আমরা থানাকে জানিয়েছি।’
বাড়ির মালিক তরুণকান্তি চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘তান্ত্রিকরা আমাকে জানিয়েছেন এই বাড়ির মধ্যে নরকঙ্কাল আছে। আমাদের কোনও পূর্বপুরুষই এই নরকঙ্কাল এই বাড়ির নিচে পুঁতে রেখেছেন। কে সেটা পুঁতে রেখেছেন, তা তো আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। সেই কঙ্কাল উদ্ধার করতেই আমি সুরঙ্গ কেটেছি। তা নিয়ে এলাকার মানুষরা একটু কৌতুহলী হয়ে পড়েছেন। তাই তাঁরা বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই আপাতত সুড়ঙ্গ খননের কাজ আমি বন্ধ রেখেছি। আমি কোনও গুপ্তধনের খোঁজে সুরঙ্গ খনন করছি না।’ এলাকাবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কী কারণে ওই সুরঙ্গ খনন করাহচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।