দেশের খবর
হকারদের সঙ্গে আরপিএফ-এর অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হকারদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরপিএফ-কে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আরপিএফ মানবতা বিরোধী। এরা মনে করছে নিজেরা বোধহয় স্টেশনের মালিক। হকারদের উপর অত্যাচার না কমলে সব স্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচী হবে।’
কয়েকদিন আগেই হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশনে আরপিএফ কয়েকজন রেল হকারকে আটক করে। তাঁদের সামগ্রী আটকে রাখে জরিমানা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হকাররা সারাদিন আরপিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে। সন্ধ্যায় রেল লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখালে হকারদের মুক্তি দেয় আরপিএফ। আজ হুগলি জেলার রেল হকারদের সঙ্গে নিয়ে ব্যান্ডেলে বিক্ষোভ সভা করে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, তপন দাশগুপ্ত, অসিত মজুমদার, হুগলি জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী। ঋতব্রত বলেন, ‘আরপিএফ হকারদের উপর মাত্রা ছাড়া অত্যাচার করছে। জরিমানা করেও থামছে না। সামগ্রী আটকে রাখছে দু-তিন মাস। খাবার খেয়ে নিচ্ছে।
আরপিএফ যদি মনে করে স্টেশন গুলো তাদের জমিদারি, সেটা হয় না। বিপুল অংশের রেল হকার রয়েছে। আমরা বৃহৎ পরিকল্পনা নিচ্ছি। হাওড়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনে সব স্টেশনে কর্মসূচী নেওয়া হবে। সব জায়গায় আরপিএফ অত্যাচার চালাচ্ছে। ব্যারাকপুরে করেছে। সেখানেও ডেপুটেশনে দিয়েছি।আরপিএফ মনে করছে তারা স্টেশনের মালিক। সেটা তো হতে পারেনা। সাধারণ মানুষ হল রাজ্যের মালিক। হকাররা রাজ্যের বাসিন্দা। সবাই রেল ব্যবহার করে। মানুষকে বাদ দিয়ে তো কিছু হতে পারেনা।ওরা যেটা করছে সেটা মানবতা বিরোধী। ডেপুটেশন হল, বিক্ষোভ হল।
এর পরে আরও বড় আন্দোলন হবে।’সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত সভায় বলেন, ‘এখানে চাকরি করতে হলে তৃণমূল যে পথে চলে, সে পথে চলতে হবে। বিজেপির দালালি করা এখানে চলবে না।’ চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘আমরা চাইনা অযথা আইন শৃঙ্খলার অবনতি হোক। রেলে হকারি তো নতুন নয়। কেন্দ্র চায় না কেউ ভালো থাকুক। এসব বন্ধ না হলে আমরা ডিআরএম অফিসে গিয়ে আন্দোলন করব।’