বাংলার খবর
বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কলকাতা পুরভোটে দলের টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে যাঁরা নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের কড়া বার্তা দিল তৃণমূল। প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার।
৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সদ্যপ্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। গত শুক্রবার রাতে কলকাতার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হলে দেখা যায়, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের বদলে প্রার্থী করা হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে। তারপরই শনিবার তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। তাঁর বদলে আবারও সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী করে তৃণমূল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার নির্দল হিসাবে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন জমা দেন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। একই ঘটনা ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের ওয়ার্ড ৭৩ নম্বরেও।
এবারে ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। টিকিট না পেয়ে ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকারও নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হওয়ার পাশাপাশি, ৯ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানও তিনি। ৭২ নম্বর ওয়ার্ডেও নির্দল প্রার্থী হয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ওয়ার্ডে আবার তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত বক্সীর পুত্র সন্দীপ বক্সী। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মনোনয়ন জমা দেন তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও রতন মালাকার।
বুধবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘দল যাদের মনে করেছে তাদের টিকিট দিয়েছে। ৪ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহার করার দিন। যারা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তারা যদি তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন তাহলে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা তারা দেখতেই পাবেন।’