চায়ের দোকানে বসেই এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধান করছেন জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক!
Connect with us

বাংলার খবর

চায়ের দোকানে বসেই এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধান করছেন জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক!

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দরকারের সময় বিধায়ক, মন্ত্রীদের কাছে পৌঁছন যায় না। এই অভিযোগ হামেশাই করে থাকেন আমজনতা। কিন্তু, সেই জায়গায় কিছুটা ব্যতিক্রমী চিত্র ধরা পড়ল এই রাজ্যেই। চায়ের দোকানে বসেই এলাকার মানুষজনদের অভিযোগ অভাবের কথা শুনছেন জনপ্রতিনিধি! না, এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপির কোনও নেতার ‘চায়ে পে চর্চা’ নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসকে চায়ের দোকানে বসেই এলাকার মানুষদের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে দেখা গেল। শুধু তাই নয়, চায়ের দোকানে বসেই নিজের প্যাডে সই করে ও স্ট্যাম্প মেরে এলাকাবাসীদের সার্টিফিকেট দিতেও দেখা গেল তাঁকে।

প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণ সেরে দলীয় কার্যালয় বা নিজের বাড়িতে নয়, এলাকার চায়ের দোকানে বসেই প্রতিদিন এলাকাবাসীর অভাব ও অভিযোগ শোনার পাশাপাশি কাজকর্ম করেন বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। সেখানে বসেই সমস্ত মানুষের কথা শোনেন তিনি। এমনকী চায়ের দোকানে বসেই নিজের বিধায়ক প্যাডে সই করে স্ট্যাম্প মেরে শংসাপত্র দিচ্ছেন বিধায়ক। তবে বিধায়কের এই উদ্যোগকে নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।

গত ২১ জুলাইয়ের পর থেকেই জনসংযোগের এই নতুন পন্থা নিয়েছেন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। চায়ের দোকানে বসেই তাঁর এই উদ্যোগের পিছনের আসল কারণ জানিয়েছেন জয়নগরের বিধায়ক। বিশ্বনাথ দাস জানান, ‘গত একুশে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত বিধায়কদের মানুষের কাছে পৌঁছে তাদের সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই কারণে এলাকার বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসে এলাকাবাসীদের সব রকম পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ চায়ের দোকানে বসেই নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে বিধায়কের কাছ থেকে চটজলদি সমাধান পেয়ে খুশি এলাকার মানুষও।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘আমি ছেলের একটা সার্টিফিকেট আনতে বিধায়কের বাড়িতেই যাচ্ছিলাম। সেখানে যাওয়ার সময়ই দেখলাম বিধায়ক চায়ের দোকানে বসে রয়েছেন। সেখানেই তাঁকে আমার সমস্যার কথা বললাম। সঙ্গে সঙ্গেই বিধায়ক আমার ছেলের সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন। এই রকম পরিষেবা কোথাও পাওয়া যায় না। বিধায়কের এই পরিষেবায় আমরা খুবই খুশি।’ বিধায়কের এই কর্মসূচি থেকে উপকৃত হওয়া আর এক মহিলা জানিয়েছেন, ‘আমি একটা সমস্যা নিয়ে বিধায়কের কাছে যাচ্ছিলাম। কিন্তু উনাকে রাস্তায় চায়ের দোকানে দেখে সেখানেই আমার সমস্যার কথা বললাম। এবং সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সমাধান করে দেন।’
তবে তৃণমূল বিধায়কের এই উদ্যোগকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের এই কটাক্ষকে খুব একটা পাত্তা দিতে রাজি নন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। তিনি বলেছেন, ‘গত ২১ জুলাই কলকাতায় শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে ৩০-৪০ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়ে ছিলেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিল এবং এখনও রয়েছে। তাই বিরোধীদের এই সমস্ত অপপ্রচারে মানুষ কান দিচ্ছে না।’

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.