বাংলার খবর
রাজ্যজুড়ে প্রার্থী বিক্ষোভ সামাল দিতে জেলা ভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন তৃণমূলের! নাম নেই অভিষেকের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ব্যাপক অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে পৌরভোটে জেলা ভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন করে দিয়েছে তৃণমূল। সোমবার তৃণমূলের মুখ্যসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই কথা জানিয়েছেন।
হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পুলক রায়কে। উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্বে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পার্থ ভৌমিক। পাশাপাশি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্ব দিওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস চক্রবর্তী এবং অরূপ বিশ্বাসকে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর। কোচবিহার এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত বক্সীর ওপর। ঝাড়গ্রামের দায়িত্ব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর। আলিপুরদুয়ারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মলয় ঘটককে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন অজিত মাইতি ও মানস ভুঁইয়া। দার্জিলিংয়ের দায়িত্বে বরাবরের মতো গৌতম দেব।
নদীয়ার দায়িত্বে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, ব্রাত্য বসু। জলপাইগুড়ির দায়িত্বে থাকছেন সৌরভ চক্রবর্তী। সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় টার্গেট দিয়েছেন গতবারের থেকেও বেশি আসনে এবার তৃণমূলকে জয় এনে দিতে হবে বলে। তবে প্রার্থী সমস্যা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আপাতত মনে করা হচ্ছে, পুরভোটের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কার্যত দলের অন্দরে যে ক্ষোভের উদ্রেক হয়েছে, তাতে রাশ টানতে চাইছেন। তবে এই পৌরভোটের দায়িত্ব বন্টন নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কারণ এই তালিকায় নাম নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ডায়মন্ড মডেলের পর থেকেই দলের অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেকের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। দু’দিন আগে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারেও বেশকিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অভিষেক। সেই নিউ তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিতে সোমবারই গোয়া যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি গোয়া সফর বাতিল করেছেন। এমনকি সোমবার অখিলেশ যাদবের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে লখনউ উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোয়ার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি একবারের জন্যও অভিষেকের নাম মুখে আনেননি। তৃণমূল সুপ্রিমো শুধু বলেছেন, ‘গোয়া তো একজন দেখছে’। এরপর পৌরভোটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলীয়ভাবে কোনও দায়িত্বই না রাখাটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেকের দূরত্ব বাড়ছে! এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।