দেশের খবর
৩৫ ঘণ্টা আটক থাকার পর গ্রেফতার প্রিয়াঙ্কা, নিহত দুই কৃষকের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : ৩৫ ঘণ্টা আটক করে রাখার পর অবশেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করল সীতাপুর থানার পুলিশ। প্রিয়ঙ্কা-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র হুডা, অজয় কুমার লাল্লুও রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ও শান্তি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে উত্তর প্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মন্ত্রীপুত্রের গাড়ি চাপা পড়ে আন্দোলনরত ৪ কৃষকের মৃত্যুর পর রবিবার রাতেই লখিমপুর খেরির উদ্দেশে রওনা দেন প্রিয়ঙ্কা।
কিন্তু পথে সীতাপুরে তাঁকে আটকে দেয় যোগীরাজ্যের পুলিশ। প্রিয়ঙ্কাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো হয়। প্রিয়ঙ্কার কনভয় আটকানোর পরে পুলিশের সঙ্গে তিনি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। প্রিয়ঙ্কা দাবি করেন, তাঁকে আটকানোর অধিকার নেই পুলিশের। তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান তাঁদের কাছে ওয়ারেন্ট রয়েছে কি না। তারপরই সীতাপুরে একটি গেস্ট হাউসে আটক করে রাখা হয় প্রিয়ঙ্কাকে। ড্রোনের মাধ্যমে তাঁর ওপর নজরদারিও চালাচ্ছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। সেখান থেকেই আজ সকালে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সেই ভিডিওয় তাঁকে গেস্ট হাউসের ঘর ঝাড়ু দিতেও দেখা গিয়েছে।
সেই ভিডিও বার্তায় মোদি সরকারকে আক্রমণ করে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, ‘মোদিজি, কোনও রকম নির্দেশ ছাড়াই আপনার সরকার আমাকে ২৮ ঘণ্টা ধরে আটক করে রেখেছে। অথচ যে অন্নদাতাদের পিষে দিল সেই অপরাধী এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনার সরকার তাকে ধরছে না কেন?’ সেইসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যতদিন না কৃষকরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন ততদিন তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে গতকাল ব্যর্থ হওয়ার পর আজ লখিমপুরে শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। গতকালই লখিমপুরে গিয়েছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মন্ডল, আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব। কিন্তু তাঁদের মাঝপথে আটকে দেয় উত্তর প্রদেশ থানার পুলিশ। আজ ভোরে নিহত দুই কৃষকের বাড়ি গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বলে জানিয়েছেন দোলা সেন।