আবার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনল তৃণমূল!
Connect with us

বাংলার খবর

আবার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনল তৃণমূল!

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্য রাজনীতির ফোকাসে আবার নন্দীগ্রামে। চাঞ্চল্যকর মোচড় দিলেন তৃণমূল নেতা আবু তাহের। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি নেতা খুনে তিনি এবার আঙুল তুললেন শুভেন্দু অধিকারীর দিকে।

‘নিশিকান্ত মণ্ডলকে খুন করিয়েছেন বিধানসভার বর্তমান বিরোধী দলনেতাই’- শহীদ রবীন দাসের স্মরণসভায় গিয়ে এই দাবি করলেন আবু তাহের। তবে ১২ বছর কেন চুপ করে ছিলেন? তৃণমূল নেতার বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে শহিদ নিশিকান্তের পরিবারও। বিজেপির দাবি, শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা দেখেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে শাসক দল। ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর মৃত্যু হয়েছিল নিশিকান্ত মণ্ডলের। নিশিকান্ত সোনাচূড়া অঞ্চলে তৎকালীন অঞ্চল প্রধান ছিলেন। সেদিন সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পিছনে মাওবাদী নেতা কিষানজির নাম উঠে এসেছিল। ঘটনার ১২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। শনিবার নন্দীগ্রামের রাজনীতিতে এল বড় মোচড়।

এলাকারই তৃণমূল নেতা রবীন দাসের স্মরণ সভায় তৃণমূল নেতা আবু তাহের শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেই খুনের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। তিনি বলেছেন,’শুভেন্দু অধিকারীই জমি আন্দোলনের নেতা নিশিকান্ত মণ্ডলকে লোক লাগিয়ে খুন করেছেন। নিশিকান্ত মণ্ডল খুন হল। সে সময় পুলিশ তদন্ত করল। মোবাইল ট্র্যাক করা হল, কিন্তু আততায়ীকে খুঁজে বার করা গেল না! তিনিই তো নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে তিনি কীভাবে পারবেন?’ কিন্তু বিজেপি এবং নিশিকান্তের পরিবার এখানেই প্রশ্ন তুলেছে। কেন ১২ বছর চুপ ছিলেন আবু তাহের? কেন এতদিন পর এখন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন? বিজেপির বক্তব্য, তৎকালীন জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

আবু তাহেরও সে সময় জমি আন্দোলনে কাজ করেছিলেন। অন্যদিকে তৃণমূল প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও আবু তাহেরের সঙ্গে তাঁর গোপন আঁতাত ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে ধর্মীয় ভেদ তৈরি করতে উদ্যত হয়েছেন। আর সেই কারণেই তাঁর ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও একাধিক নেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তাই শুভেন্দু অধিকারীর ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত আবু তাহেরও ১২ বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘এতদিন কি তৃণমূল ঘুমিয়ে ছিল? আমি যদি ধরে নিই এই অভিযোগ সত্য, তাহলে এর জন্য তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তখন এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না? এটা কি কখনও হতে পারে? আসলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। শুভেন্দুকে কোনওভাবেই রোখা সম্ভব হচ্ছে না। ভারতীয় জনতা পার্টির ঝাণ্ডা ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাই তাকে নানাভাবে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে। এর আগেও দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলাতেও শুভেন্দুকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে। হাইকোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এবার নতুন ফন্দি আঁটছে ওরা।’

Advertisement