দেশের খবর
প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় চন্দননগরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৪ কর্পোরেশন আসানসোল, বিধান নগর, চন্দননগর ও শিলিগুড়িতে নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই এই চার পুর নিগমের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই এই চার পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শাসকদলের নেতা কর্মীদের মধ্যে।
শুক্রবার বিধান নগর, চন্দননগর পুরসভার একাধিক জায়গায় প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। চন্দননগর পৌরনিগমের তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর শুক্রবার টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূলের একাংশের কর্মী-সমর্থকরা ।চন্দননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরেই ক্ষোভ-বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, দলীয় নেতৃত্ব ভুলবশত মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে। সিপিআইএম দীর্ঘদিন ধরেই এই ওয়ার্ডে জিতে আসছে।
তাই এই ওয়ার্ডে লড়াই দিতে ভালো প্রার্থীর প্রয়োজন বলেই মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। তাদের দাবি, এই ওয়ার্ড প্রার্থী করতে হবে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।উল্লেখ্য, চন্দননগরের তৃণমূল প্রার্থী অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী অনন্যা।তাই সমর্থকদের একাংশের দাবি, মৌমিতাকে কোনদিন কোনও কাজে পাওয়া যায়নি। উপরন্তু বিজেপির হয়ে আগের বিধানসভায় কাজ করেছে এই দলীয় প্রার্থী। সেই কারণেই এখানকার মানুষ মৌমিতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন না। তাই এই বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই মৌমিতার সমর্থনে দেওয়াল লেখা শুরু হয়ে গিয়েছে। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মৌমিতা বলেন, ‘দল প্রার্থী ঠিক করেছে। দলের কারা বিক্ষোভ করছে জানি না।
দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব।’ চন্দননগরের বিদায়ী প্রশাসক রাম চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এটা একজন কেউ ঠিক করেনি। পিকের দল এবং দলের নেতৃত্ব ঠিক করেছে। হয়তো কিছু সমস্যা থাকতে পারে। যাই হোক, আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। সেই হিসাবেই কাজ করব। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ দূর হয়ে যাবে।’ শুক্রবার আসানসোলেরও একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থিতালিকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শাসকদলের কর্মীরা। টিকিট না পাওয়ায় অনেকেই নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। বিধান নগরেও প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের।