বাংলার খবর
পুজোর আগেই চালু হবে শহরের দুই রুটের ট্রাম পরিষেবা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর। দুর্গা পুজোর আগেই খুলে যাচ্ছে শহরের দুটি ট্রাম রুট। খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড এবং বিধাননগর-রাজাবাজার রুটে আবারও ছুটবে ট্রাম। শনিবার রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
২০২০ সালের সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আগে শহরের ছ’টি রুটে ট্রাম চলত। আম্ফানে ব্যাপক ক্ষতি হয় ওভারহেড লাইনে। ঝড়ে উপড়ে পড়ে খুঁটি, গাছের ডাল পড়ে ছিঁড়ে যায় ওভারহেড তার। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্রাম পরিষেবা। যদিও মেরামতের পর কয়েক মাসের মধ্যেই ছ’টির মধ্যে পাঁচটি রুটে ট্রাম চলাচল শুরু হয়। সেই পাঁচটি রুট হল টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ, রাজাবাজার থেকে হাওড়া ব্রিজ, গড়িয়াহাট থেকে এসপ্ল্যানেড, এসপ্ল্যানেড থেকে শ্যামবাজার এবং হাওড়া ব্রিজ থেকে শ্যামবাজার। কিন্তু শহরজুড়ে মেট্রো রেলের কাজ চলায় বর্তমানে এই পাঁচটির মধ্যে তিনটি রুটে ট্রাম পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বর্তমানে শুধুমাত্র গড়িয়াহাট থেকে এসপ্ল্যানেড এবং টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ- এই দু’টি রুটেই ট্রাম চলাচল করছে। কিন্তু খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড এবং বিধাননগর থেকে রাজাবাজার রুটে এখনও আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ট্রাম লাইন মেরামতের কাজ চলায় এই দু’টি রুটই বন্ধ রয়েছে। করোনা ও লকডাউনের জন্য মেরামতির কাজ আটকে গিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য পরিবহণ নিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বছরের দুর্গা পুজোর মধ্যেই এই দুই রুটে ট্রাম পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে পালানোর আগেই গ্রেফতার ৬ রোহিঙ্গা
খিদিরপুরে থেকে এসপ্ল্যানেডের ৩৬ নম্বর রুটের ট্রাম খিদিরপুর ডিপো থেকে ছেড়ে ফ্যান্সি মার্কেট, ওয়াটগঞ্জ জংশন, হেস্টিংস, রেসকোর্স, ফোর্ট উইলিয়াম, রেড রোড হয়ে শহীদ মিনার পর্যন্ত চলে। অপরদিকে, মেট্রো রেলের কাজ চলার জন্য বিধাননগর থেকে হাওড়া ব্রিজের মধ্যে চলা ১৮ নম্বর রুটের ট্রাম হাওড়া ব্রিজের পরিবর্তে রাজাবাজার পর্যন্ত চলাচল করছিল। আম্ফানের পর থেকে এই রুটটিও বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ছাত্রের রহস্য মৃত্যু, উত্তেজনা বিশ্বভারতীতে
এবার সেই রুটেও আগামী ৬ মাসের মধ্যেই ট্রাম পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পরিবহণ নিয়ম। আম্ফানের ঝড়ে এই দুই রুটে ক্ষতিগ্রস্ত ওভারহেড তার, পোস্ট মেরামতের জন্য টেন্ডার ডাকার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। সমস্ত কিছু মেরামতে খরচ হবে প্রায় ১.৩ কোটি এবং ৭৫ লক্ষ টাকা। এই দুই রুটে ট্রাম পরিষেবা চালু হলে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও অনেকটাই সুবিধা হবে।