বাংলার খবর
বছরে মাত্র ১দিন ট্রেন দাঁড়ায় শতাধিক প্রাচীন দুবরাজপুরে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রতিবছর বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত দুবরাজপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত হয় আলম বাবার উরস। ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং অন্ডাল-সাঁইথিয়া রেল লাইনের পাশেই রয়েছে এই শতাব্দী প্রাচীন আলম বাবার মাজার। গত দু’বছর ধরে করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলার আয়োজন করার ক্ষেত্রে অনুমতির দেওয়া না হলেও এই বছর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় মেলার আয়োজন করা হয়।
করোনা আবহে বিগত দু’বছর বন্ধ ছিল শতাধিক প্রাচীন বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আলম বাবার মেলা। মূলত উরস উৎসব উপলক্ষেই রেল লাইনের ধারে বসে এই একদিনের মেলা। এখানে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। মাজার শরিফে ফাতেহা করে দোওয়া প্রার্থনা করেন এবং সিন্নি ও চাদর চড়ান ভক্তরা। আলম বাবার মেলা প্রতিবছর বাংলা আষাঢ় মাসের চতুর্থ শুক্রবার বসে। এই মেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু ইতিহাস। তাছাড়াও এই মেলা উপলক্ষে একদিনের জন্য প্রতিটি ট্রেন এখানে দাঁড়ায়। কারণ দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা ট্রেনে করে আসেন এবং মেলা দেখে আবার ট্রেনে করেই বাড়ি ফিরে যান।
সারারাত ধরে চলে বাউল ও ফকিরী গানের আসর। বিগত দু’বছর পর আবার এই মেলায় মানুষজন আসতে পেরে স্বভাবতই খুশি। এ বিষয়ে আলম বাবার মাজার শরিফের খাদিম মহম্মদ পীরু শাহ জানান, বিগত দু’বছর ধরে করোনার জন্য মেলা হইনি। এবারে জাঁকজমক ভাবে হচ্ছে এই মেলা। আনুমানিক ৮০০ বছর প্রাচীন এই মেলা। অগণিত মানুষ এখানে আসেন আলম বাবার মাজারে।
অন্যদিকে, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুবরাজপুর থানার পুলিশ, জিআরপি এবং আরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি দুবরাজপুর পৌরসভার পৌর প্রধান পীযূষ পাণ্ডে জানান, এই মেলা বহু প্রাচীন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষজন আলম বাবার মাজারে আসেন সিন্নি ও চাদর চাপাতে। এই মেলা সুষ্ঠুভাবে হোক এটাই প্রার্থনা করি।